জমে গেল খেলা! NDA-র ঘুম উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে INDIA-র হেমন্ত

জেল থেকে বেরোনোর এক সপ্তাহের মধ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন চম্পই সোরেন।…

জেল থেকে বেরোনোর এক সপ্তাহের মধ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন চম্পই সোরেন। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্তকে (Hemant Soren) শপথবাক্য পাঠ করান। এই নিয়ে তৃতীয়বার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হলেন হেমন্ত সোরেন।

চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েন তিনি। পাঁচ মাস রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে ছিলেন হেমন্ত। ২৮ জুন হাইকোর্টের নির্দেশে ছাড়া পান সোরেন।

   

তারপরই ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার তোড়জোর শুরু করেন তিনি। এদিকে হেমন্তের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় দলের জনপ্রিয় মুখ চম্পই সোরেনকে। গতকাল আবার জেএমএম পরিষদীয় দলের বৈঠকে চম্পইকে সরিয়ে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়। যদিও দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভপ্রকাশ করেন দাপুটে নেতা চম্পই।

আচমকা সনিয়া-রাহুলের দুয়ারে ধনকুবের মুকেশ আম্বানি! হল কী?

জেএমএমের নেতৃত্বাধীন জোটের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণনের সঙ্গে দেখা করেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি রাজেশ ঠাকুর, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা সত্যানন্দ ভোক্তা এবং বিধায়ক বিনোদ সিং। হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী তথা বিধায়ক কল্পনা সোরেনও প্রতিনিধি দলে ছিলেন।

তাঁরা ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান। রাজ্যপালের থেকে গ্রিন সিগন্যাল মেলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আজ, বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ইন্ডি জোটের অন্যতম নেতা হেমন্ত জেল থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসায় একটু হলেও চাপ বাড়ল মোদী সরকারের উপর।

মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে পরতে পরতে চমকালেন রোহিত-বিরাটরা!

এর অন্যতম কারণ, কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল। আর হাইকোর্ট ইডিকে ‘দুষে’ হেমন্তের জামিনের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে জেএমএমের সুপ্রিমো পদে রয়েছেন হেমন্তের বাবা শিবু সোরেন। দলের কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, শিবু-পুত্রকে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে চম্পইকে নতুন কার্যকরী সভাপতি করা হতে পারে।