আগামী ২ মে কেদারনাথ মন্দির পূণরায় খোলার কথা হয়েছে। কিন্তু এর আগেই কেদারনাথ অঞ্চলে প্রবল তুষারপাতের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রুদ্রপ্রয়াগ প্রশাসন। চলতি মাসের ২৭ ও ২৮ তারিখে হওয়া ভারী তুষারপাতের পর, গত কয়েকদিনে আরও হালকা তুষারপাত হয়েছে। এর ফলে কেদারনাথ ট্রেক রুটে ৬টি জায়গায় গ্লেসিয়ার তৈরি হয়েছে, যা পথ চলাচলে কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই তুষারপাতের কারণে চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে উত্তরাখণ্ডের চার ধাম যাত্রার প্রস্তুতি।
কেদারনাথের সমস্ত অঞ্চল, বিশেষ করে কেদারনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকা এখন পাঁচ ফুট পুরু তুষারের নিচে ঢাকা। গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেক রুটও প্রায় এক থেকে পাঁচ ফুট তুষারের নিচে চাপা পড়ে গেছে। রামবদা থেকে রুদ্র পয়েন্ট পর্যন্ত ছয়টি স্থানে গ্লেসিয়ার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার জেরে ওইসব জায়গাগুলিতে পার হওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। চোটি ও বড়ি লিঞ্চোলি এলাকাতেও চার ফুটের বেশি তুষার জমে গেছে।
চামোলি জেলার জন্য অ্যাভালাঞ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাস্তায় তুষার সরানোর কাজ স্থগিত হয়ে গেছে। ভারী তুষারপাতের কারণে রামবদা থেকে গরুদ ছত্তি পর্যন্ত পুরোনো রুটের পুনরুদ্ধার কাজও বন্ধ রয়েছে। গত সপ্তাহে ৯০ জন কর্মী এই কাজ করতে গিয়ে সোনপ্রয়াগ ফিরে আসেন।
৫ ফুট তুষারের মধ্যে কেদারনাথ মন্দির এলাকা ডুবে যাওয়ার কারণে, কেদারনাথ যাত্রার প্রস্তুতিতে আরও বিলম্ব হতে পারে। পিডব্লিউডি গোপ্তকাশী-কেদারনাথ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় ঝিকওয়ান জানিয়েছেন, যদি আবহাওয়া সহায়ক হয়, তবে মার্চ ২০ তারিখের পর তুষার সরানোর কাজ শুরু হতে পারে। তবে তুষার জমে যাওয়ার কারণে মার্চ মাসে কাজ শুরু করা কঠিন হবে।
এছাড়া যাত্রার পথে গ্লেসিয়ারের কারণে গৌরীকুন্ড থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত অনেক স্থানে কর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না। প্রশাসন পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে আবহাওয়ার কারণে চার ধাম যাত্রার শুরুতে বিলম্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।