বর্তমানে গুজরাটে শুরু হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টি (Gujarat Heavy Rains) । গত ৪৮ ঘন্টা ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কবলে রাজ্য। আলিপুর আবহাওয়া বিভাগ মঙ্গলবার রাজ্যের ২৭ টি জেলার জন্য লাল সতর্কতা জারি করে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের ফলে জলাধারগুলি ব্যাপকভাবে উপচে পড়েছে, যার ফলে তৈরী হয়েছে বন্যার পরিস্থিতি। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে জেলা জুড়ে রাস্তা এবং ছোট সেতুর।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ত্রাণ প্রচেষ্টা বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছেন। রাজ্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করা এবং ২৭ আগস্ট সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। গুজরাটের ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পান্ডে মঙ্গলবার বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মানব সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য সমস্ত জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন । তিনি সেখানে জানান যে রাজ্য প্রশাসনকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে বিদ্যুৎ, ওষুধ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহের কোনও ঘাটতি না থাকে।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ! ধুমধাম করে গণেশ পুজোয় ‘না’ পুজো কমিটিগুলির
ખૂબ જરૂરી કાર્ય.. માનવીય સંવેદનાથી સભર કાર્ય.. ટીમ ગુજરાતની પ્રશાસનિક જવાબદારી.. અને નૈતિક જવાબદારી. #RainfallinGujarat #BeCarefulGuj https://t.co/ucQq6Tkjkk
— Bhupendra Patel (@Bhupendrapbjp) August 26, 2024
আবহাওয়া দফতর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। তারা জানিয়েছে যে রাজ্যে তীব্র বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি, বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৬০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
ভারী বর্ষণ ভাদোদরা রেলওয়ে বিভাগে রেল পরিষেবাগুলিতে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে, যা সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে রুটগুলিকে প্রভাবিত করেছে ৷ বাজওয়া স্টেশনে জলাবদ্ধতার কারণে কিছু ট্রেন বাতিলও করা হয়েছে। ভাদোদরা তীব্র বৃষ্টিপাতের পরে মারাত্মক বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভাডোদারাতে ১৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জলস্তর বৃদ্ধির ফলে আজওয়া হ্রদ থেকে বিশ্বামিত্রী নদীতে অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে নদীর স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভাদোদরার অনেক এলাকা বর্তমানে জলমগ্ন, এবং এটি বাসিন্দাদের জন্য বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশ্বামিত্রী নদীর জল বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদীর স্রোতের কারণে সাতটি সেতু বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ফলস্বরূপ, কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতির প্রভাব প্রশমিত করতে নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা শুরু করেছে। ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে ভাদোদরা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
আহমেদাবাদে, শহরে গত ২৪ ঘন্টায় তীব্র বৃষ্টিপাত হয়েছে। অবিরাম বর্ষণে ভাসনা ব্যারেজের জলস্তর ১২৮.৫ ফুটে উন্নীত হয়েছে, এবং এর ৯টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, শহরটিকে কমলা সতর্কতার আওতায় রাখা হয়েছে।