নিজেকে সংবিধানের উর্ধ্বে মনে করেন: কাকে নিশানা করলেন Dilip Ghosh?

কলকাতা: কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান, নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে ভীষণ উদাসিন বলে রাহুল গান্ধীর নামে নালিশ চিঠি দিয়েছে সিআরপিএফ। দুম করে বিদেশ যাওয়ার আগে…

নিজেকে সংবিধানের উর্ধ্বে মনে করেন: কাকে নিশানা করলেন Dilip Ghosh?

কলকাতা: কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান, নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে ভীষণ উদাসিন বলে রাহুল গান্ধীর নামে নালিশ চিঠি দিয়েছে সিআরপিএফ। দুম করে বিদেশ যাওয়ার আগে নিজের নিরাপত্তারক্ষীকেও কিছু জানান না বলে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নামে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগের কাছে চিঠি যাওয়ার পর থেকেই সরব হয়েছে বিজেপি।

বিদেশে এমন কার সঙ্গে রাহুল দেখা করতে যান, যে নিজের নিরাপত্তারক্ষীকেও তা জানান না বলে কটাক্ষ হুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এবার রাহুল গান্ধীর এই ‘উদাসিন’ মনোভাব নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবার লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী “নিজেকে দেশ, সরকার এবং সংবিধানের উর্ধ্বে” বলে মনে করেন বলে মন্তব্য করেন দীলিপ।

   

বস্তুত, বুধবার রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেস সভাপতিকে পাঠানো ‘নালিশ পত্রে’ গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর বিদেশ যাত্রার একটি তালিকা দেয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, সিআরপিএফের ইয়েলো বুকের নিয়মবিধি বারংবার লঙ্ঘন করেছেন রাহুল। কিন্তু আচমকা এই সময়েই এই চিঠি প্রকাশ্যে আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা।

Advertisements

তিনি বলেন, “আমরা জানি রাহুলের ভোট চুরি আন্দোলন নিয়ে চাপে পড়েছে বিজেপি। ঠিক এই সময়ই সরকারের এই চিঠি প্রকাশ্যে আনার কারণ কি?” এরপর নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে পবন খেরা বলেন, “আমরা এও জানি যে প্রধানমন্ত্রী রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) হাইড্রোজেন বোমা নিয়েও চিন্তিত। আপনার দুশিন্তা অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে লোকসভা সাংসদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ইস্যু তৈরি করবেন না”। রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা বিষয়ক চিঠিটি সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা সরকারের উচিৎ হয়নি বলে তোপ দেগেছেন পবন খেরা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং প্রয়াঙ্কা গান্ধীর এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নিয়ে তার পরিবর্তে সিআরপিএফকে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্র সরকার। তবে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জেড প্লাস এএসএস সুরক্ষা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিরাপত্তার সব বিধি উলঙ্ঘন করেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।