যোগীরাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে? NCRB বলছে, ধর্ষণ-খুনে দেশের শীর্ষে

লখনউ: ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) ২০২৩ সালের জন্য দেশব্যাপী অপরাধের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের তিনটি প্রধান শহর, লখনউ, কানপুর এবং গাজিয়াবাদ।…

লখনউ: ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) ২০২৩ সালের জন্য দেশব্যাপী অপরাধের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের তিনটি প্রধান শহর, লখনউ, কানপুর এবং গাজিয়াবাদ। এই তিনটি শহর দেশের ১৯ টি মেট্রোপলিটন শহরের শ্রেণীতে পড়ে যাদের জনসংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি।

Advertisements

এনসিআরবি (NCRB) রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩ সালে গাজিয়াবাদ এবং কানপুরের তুলনায় খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, অ্যাসিড আক্রমণ, অনিচ্ছাকৃত হত্যা এবং অবহেলার কারণে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ছিল যোগী আদিত্যনাথের রাজধানী লখনউ-তে।

   

ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা

২০২৩ সালের তথ্য অনুসারে, গাজিয়াবাদে ৪৫ টি খুনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। কানপুরে ৯৭টি। সেখানেই লখনউতে ১০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাজিয়াবাদে অপরাধের হার (প্রতি লক্ষ জনসংখ্যার গড়) ছিল ১.৯, কানপুরে ৩.৩ এবং লখনউতেই সেটা ৩.৪।

ধর্ষণের (Rape) ক্ষেত্রেও লখনউ এগিয়ে রয়েছে। গাজিয়াবাদে ৮৩টি মামলা এবং ৮৩ জন নির্যাতিতার তথ্য দিয়েছে NCRB। কানপুরে ৮৬ টি মামলা এবং ৮৬ জন নির্যাতিতার রিপোর্ট করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানী লখনউতে ১৫১ টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, নির্যাতিতার সংখ্যা ১৫২ জন! অপরাধের হার গাজিয়াবাদে ৭.৫, কানপুরে ৬.৪ এবং লখনউতে ১০.৯।

অ্যাসিড আক্রমণের (Acid Attack) মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেও লখনউ এগিয়ে রয়েছে। ২০২৩ সালে গাজিয়াবাদ এবং কানপুরে একটি করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে লখনউতে চারটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সারা বছর ধরে ১৯টি মহানগর শহরে মোট ২৯টি অ্যাসিড আক্রমণের অপরাধ রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজধানী নাকি অপরাধের রাজধানী?

জাতীয় অপরাধ তদন্ত বোর্ড প্রতি বছর ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বিশেষ আইনের অধীনে দেশজুড়ে সংঘটিত অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করে। ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যে অনেক অপরাধের হারে লখনউ গাজিয়াবাদ এবং কানপুরকে ছাড়িয়ে গেছে.

রাজধানী শহরটি এখন অপরাধের হারের দিক থেকে উত্তরপ্রদেশের অপরাধ রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নারী সুরক্ষা এবং অপরাধ দমনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ব্যর্থ বলে তোপ দেগেছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।