ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের (pakistani) এয়ার ডিফেন্স রাডার এবং সিস্টেম ধ্বংস করতে হারপি ড্রোন ব্যবহার করেছে, যা বিশেষভাবে রাডার সিস্টেমে হামলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভারতীয় সামরিক ড্রোন অভিযানে লাহোরে অবস্থিত একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
হারপি ড্রোন
হারপি ড্রোন শত্রুর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দমন (SEAD) ভূমিকার জন্য অপ্টিমাইজ করা, যা উচ্চ-বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে। এন্টি-রেডিয়েশন (AR) সিকার দিয়ে সজ্জিত এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ-মূল্যের লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করে এবং আঘাত করে।
হারপি ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত গভীর হামলা মিশনে কাজ করতে পারে, দিন-রাত, সব আবহাওয়ায় এবং গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (GNSS) বাধাগ্রস্ত বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রেও। এটি নির্দিষ্ট এলাকায় লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করে, তাদের ফ্রিকোয়েন্সি সনাক্ত করে এবং যেকোনো দিক থেকে নিম্ন বা উচ্চ কোণে আক্রমণ চালায়।
অপারেশন সিঁদুর এবং পাকিস্তানের পাল্টা হামলা (pakistani)
৭ মে ভোরে ভারত অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে, যাতে পাকিস্তানের (pakistani) গভীরে অবস্থিত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। এই অভিযান পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়, যেখানে ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিল।
জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম), লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সাথে যুক্ত এই ঘাঁটিগুলোর মধ্যে চারটি পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, সরজাল এবং মেহমুনা জয়ায় এবং বাকি পাঁচটি পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (পিওজেকে) ভিম্বরের মারকাজ আহলে হাদিস বারনালা, কোটলির মারকাজ আব্বাস ও মাসকার রাহিল শহীদ, মুজাফফরাবাদের শাওয়াই নাল্লাহ ক্যাম্প এবং মারকাজ সৈয়দনা বিলালে অবস্থিত ছিল। সূত্র জানায়, এই নির্ভুল হামলায় ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে। অপারেশন চলমান থাকায় নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তান (pakistani) ৭ মে রাতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের আওয়ান্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভুজে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। ভারতের ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এই হামলা প্রতিহত করে।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এস-৪০০ সুদর্শন চক্র এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতের দিকে আগত লক্ষ্যবস্তুগুলো নিষ্ক্রিয় করে। একাধিক বিশেষজ্ঞের মতে, এই অভিযানে সমস্ত লক্ষ্য সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারি নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে। হামলার ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানের আক্রমণের প্রমাণ বহন করে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর শাহবাজের ভাষণ ঘিরে পাকিস্তানে বিদ্রুপের ঝড়
ভারতের পাল্টা হামলা
আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের একাধিক এয়ার ডিফেন্স রাডার এবং সিস্টেমে হামলা চালায়। হারপি ড্রোন ব্যবহার করে লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিষ্ক্রিয় করা হয়। ভারতের এই প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের হামলার সমান তীব্রতায় এবং একই ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলাগুলো কেন্দ্রীভূত এবং জঙ্গি ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে, কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি।
এলওসি-তে পাকিস্তানের গোলাগুলি
পাকিস্তান (pakistani) লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উড়ি, পুঞ্চ, মেন্ধর এবং রাজৌরি সেক্টরে মর্টার এবং ভারী ক্যালিবার আর্টিলারি ব্যবহার করে অযাচিত গোলাগুলি বাড়িয়েছে। এতে ১৬ জন নিরীহ মানুষ, যার মধ্যে তিনজন মহিলা এবং পাঁচজন শিশু, প্রাণ হারিয়েছে। পাকিস্তানের এই গোলাগুলি বন্ধ করতে ভারত বাধ্য হয়ে পাল্টা হামলা চালায়। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা বৃদ্ধি না করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, তবে এটি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সম্মানিত হওয়া উচিত।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই সংঘাতের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সামরিক সংযমের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “বিশ্ব দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাত বহন করতে পারে না।” চীন, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত শান্তি আলোচনার সমর্থন করেছে।
ভারতের অবস্থান
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপারেশন সিঁদুর জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের জন্য পরিচালিত হয়েছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, “ভারত তার মাটিতে হামলার যথাযথ জবাব দেবে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অপারেশনকে জাতির গর্বের মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হারপি ড্রোনের ব্যবহার ভারতের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ। তবে, এলওসি-তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং পাকিস্তানের (pakistani) পাল্টা হামলা সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উভয় পক্ষের সংযম অত্যন্ত জরুরি।