ভারত পাবে প্রথম ‘Made in India’ যাত্রীবাহী বিমান, -৫৫ এবং ৪৫ ডিগ্রিতেও উড়তে সক্ষম

SJ-100

নয়াদিল্লি, ১ নভেম্বর: যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে বিমানবন্দর এবং বিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাগরিকদের পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে, তারা দেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বেশিরভাগ দেশের নিজস্ব বিমান নেই। এখন, ভারত এই দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত তাদের প্রথম ভারতে তৈরি যাত্রীবাহী বিমান তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। (SJ-100 Passenger Aircraft)

Advertisements

এই বিমানটি কে তৈরি করবে?
হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। কোম্পানিটি রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্রাফ্ট কর্পোরেশন (UAC)-এর সাথে অংশীদারিত্ব করে SJ-100 যাত্রীবাহী বিমান তৈরি করবে। এই বিমানটি হবে প্রথম যাত্রীবাহী বিমান যা সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি হবে। এই বিমানের উৎপাদন ভারতের আঞ্চলিক সংযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

   

SJ-100 যাত্রীবাহী বিমানটি কেমন হবে?
SJ-100 যাত্রীবাহী বিমানটি হবে একটি আধুনিক বিমান যার একটি ডাবল ইঞ্জিন এবং একটি ন্যারো বডি থাকবে। UAC এর মতে, বিমানটির পাল্লা প্রায় 3,530 কিলোমিটার। বলা হচ্ছে যে এই বিমানটি একসাথে প্রায় ১০৩ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে এবং -৫৫ ডিগ্রি থেকে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উড়তে পারবে। এই বিমানের পরিচালন খরচও খুব কম, যার কারণে বিমান সংস্থাগুলি অনেক লাভবান হতে পারে।

Advertisements

এর উদ্দেশ্য কী?
সরকারের উড়ান প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই বিমানটি তৈরি করা হচ্ছে। দেশের ছোট শহরগুলিকে বিমান পরিষেবার সাথে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি ২০১৬ সালে চালু করা হয়েছিল। এই বিমানটি ভারতের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের শহরগুলিকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। ভারতে এটিই প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণরূপে ভারতে যাত্রীবাহী বিমান তৈরি করা হবে।

ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে
ভারতের আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য SJ-100 এর মতো বিমানের উল্লেখযোগ্য প্রয়োজন রয়েছে। HAL বলছে, আগামী ১০ বছরে তাদের ২০০ টিরও বেশি ন্যারোবডি বিমানের প্রয়োজন হবে। বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী ১৬ টিরও বেশি বিমান সংস্থা এই বিমানের ২০০ টিরও বেশি ইউনিট ব্যবহার করছে। এই বিমানের উৎপাদন দেশের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে। এর সমাপ্তি ভারতের অর্থনীতিকেও উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙ্গা করবে।