বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্পষ্ট বার্তা জ্ঞানেশ কুমারের

gyanesh-kumar-bihar-election-statement-equal-treatment-message

পটনা: নির্বাচনের মঞ্চে আবারও গণতন্ত্রের উৎসব। বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে জানালেন “নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনও শাসকদল বা বিরোধী দল বলে কিছু নেই, সকলেই সমান।”

Advertisements

তিনি বলেন, “বিহার নির্বাচনে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে প্রচার করছে, ভোটারদের কাছে পৌঁছচ্ছে। আমরা শুধু এটুকুই বলতে চাই কমিশনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, আর আমাদের লক্ষ্য একটাই সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।”

   

৩ দিন পর মোকামায় ভোট, কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জ্ঞানেশ কুমার!

জ্ঞানেশ কুমার আরও জানান, কমিশনের কাছে নির্বাচন শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি এক ধরনের উৎসব “গণতন্ত্রের এই উৎসব আমরা সবাই মিলে উদযাপন করি। আমি বিহারের প্রতিটি ভোটারকে অনুরোধ করছি, এই ভোট উৎসবে অংশ নিন, আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।” প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে স্পষ্ট বার্তা ছিল, হিংসা কোনও স্থান নেই।

“আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে সহিংসতার বিরুদ্ধে। কোনও অবস্থাতেই সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না। আমরা চাই সাধারণ ভোটাররা যাতে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, নির্ভয়ে, স্বচ্ছভাবে ভোট দিতে পারেন,” বলেন জ্ঞানেশ কুমার।

তিনি আরও যোগ করেন যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন এক উদাহরণ হয়ে ওঠে ভারতের জন্যই নয়, বিশ্বের জন্যও। “এই নির্বাচন শুধু স্বচ্ছতার প্রতীক নয়, এটি দক্ষতা, সরলতা ও গণতান্ত্রিক আনন্দেরও প্রতীক হবে। বিহার এই ক্ষেত্রে এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে,” বলেন তিনি।

Advertisements

বিহার প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন, সংবেদনশীল বুথ চিহ্নিতকরণ, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ওয়েবক্যাম নজরদারি সবই সেই প্রস্তুতির অংশ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিনগুলিতে বিশেষ মনোযোগ থাকবে নারী ভোটারদের নিরাপত্তা এবং ভোটকর্মীদের সুরক্ষায়। কমিশনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ‘সক্রীয় ভোটার হেল্পলাইন’, যেখানে ভোটাররা যেকোনও অনিয়মের অভিযোগ সরাসরি জানাতে পারবেন।

জ্ঞানেশ কুমারের এই বার্তা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে পারস্পরিক অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের ধারা তীব্র হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের এই নিরপেক্ষ অবস্থান ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিহারের ভোটাররা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন সেই দিনটির, যখন রাজ্যের প্রতিটি মানুষ তাদের মতামত জানাতে বুথে যাবেন। রাজনীতির উত্তাপে উত্তপ্ত হলেও, কমিশনের লক্ষ্য একটাই গণতন্ত্রের এই উৎসব যেন শান্তি, সৌহার্দ্য ও নাগরিক সচেতনতায় ভরে ওঠে।