গুজরাটে চলতি মৌসুমে গড়ে ১০২.৮৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে দক্ষিণাঞ্চল সর্বোচ্চ ১০৭.৯৯ শতাংশ বৃষ্টিপাত (Record Rainfall) পেয়েছে বলে রাজ্য জরুরি অপারেশন কেন্দ্র (এসইওসি) জানিয়েছে।
এই তথ্য অনুযায়ী, গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল: উত্তর গুজরাটে ১০৬.৫০ শতাংশ, পূর্ব-মধ্য গুজরাটে ১০৭.৩৪ শতাংশ, সৌরাষ্ট্রে ৯১.২৯ শতাংশ এবং দক্ষিণ গুজরাটে ১০৭.৯৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কাপরাডায় ১০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে পোশিনা এবং ধরমপুরে ৬ ইঞ্চি করে বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রাধানপুর, উমরগাম, ভাচাউ, লাখনি, তালোদ এবং পালনপুরে ৪ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এসইওসি জানিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ১৩৯টি তালুকায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সানন্দ, কাদি, বোতাড়, সন্ত্রামপুর, সাতলাসানা, দান্তা, পদ্ধারি, ভাভ, ধানেরা, পাটন, পারদি, ভিলোদা, খেদব্রহ্মা, প্রান্তিজ, উমরপাড়া এবং মোদাসা সহ মোট ১৫টি তালুকায় প্রায় ৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়া, মেহসানা, টঙ্কারা, বায়াড়, সিদ্ধপুর, রাপার, জামকান্দোরনা, ধানপুর, খেরগাম, ইদার, ভাপি, সাগবাড়া, ঝালোদ, খেরালু, বিসনগর, বালাসিনোর, তিলকাওয়াড়া, মালিয়া, দাসক্রোই, হালোল, জামবুধোদা, দশাদা, শঙ্খেদা, দাহোদ, বিরামগাম, ধোরাজি, জোদিয়া, জোতানা, ভালসাড়, কদানা, হালভাড, সুইগাম, উঞ্ঝা, রাজকোট, থারাড, বোদেলি, ধ্রোল এবং বদনগর সহ ৩৮টি তালুকায় ২ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য ৭৫টি তালুকায় ১ থেকে অর্ধ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) জানিয়েছে, উত্তর গুজরাট এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানের উপর একটি নিম্নচাপ এলাকার কারণে গুজরাটে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এই নিম্নচাপটি গত ৬ ঘণ্টায় ১৫ কিমি/ঘণ্টা গতিতে দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে গেছে এবং এটি গুজরাটের দেসার কাছে অবস্থান করছে।
আইএমডি ৮ সেপ্টেম্বরের জন্য বানাসকান্থা, পাটন, মেহসানা এবং কচ্ছ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়া, সাবরকান্থা, গান্ধীনগর, আরাবল্লি, আহমেদাবাদ, নবসারি, ভালসাড়, সুরেন্দ্রনগর, জামনগর, মোরবি এবং দ্বারকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতা এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আহমেদাবাদে গত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ১০২.১৭ মিমি (৪.০২ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে, যেখানে উত্তর অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১১৪.৭০ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
ভাসনা ব্যারেজে জলস্তর ১৩১ ফুটে পৌঁছেছে, যা জলাবদ্ধতার সমস্যাকে আরও জটিল করেছে। রাজ্যের ২০৬টি বাঁধের মধ্যে ৮২টি সম্পূর্ণ ভর্তি হয়েছে, এবং সরদার সরোবর বাঁধে ৮৯ শতাংশের বেশি জল ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়েছে।
Nepal Protest: Gen Z আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর দুয়োরে!
এই বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য সুসংবাদ হলেও, জলাবদ্ধতা এবং বন্যার কারণে কিছু এলাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আইএমডি মৎস্যজীবীদের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। রাজ্য সরকার এবং এসইওসি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।