মোদী সরকারের জিএসটি সংস্কারকে স্বাগত জানাল সিপিআইএম। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, জিএসটি সংস্কার মূলত গরিবদের উপকারে আসবে বলে মনে করছে সিপিআইএমের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য কমিটি। তবে এ রাজ্যের এনডিএ জোট সরকারের রাজস্ব নীতির প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে।
অন্ধ্র প্রদেশের সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক ভি. শ্রীনিবাস রাও বৃহস্পতিবার বলেন, গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) সংস্কার মূলত গরিব মানুষদের সহায়তা করবে কারণ এতে জিনিসপত্রের দাম কমবে। তবে, তিনি টিডিপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সংস্কারে রাজ্যের সম্ভাব্য রাজস্ব ঘাটতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়া উচিত ছিল, যা তারা করেনি।
বুধবার, জিএসটি কাউন্সিল সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত অনেক পণ্যের ওপর কর কমিয়ে পুরো ট্যাক্স কাঠামো পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে হেয়ার অয়েল, কর্ন ফ্লেক্স, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা পলিসি প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।
শ্রীনিবাস রাও বলেন, “এটি ভালো পদক্ষেপ, কারণ দাম কমলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু, এতে রাজ্য সরকারের বড় আকারে রাজস্ব ঘাটতি হবে। অন্ধ্র প্রদেশ সরকার এই সংস্কারকে সমর্থন করলেও, ক্ষতিপূরণের দাবি করেনি।”
তিনি জানান, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রীরা যেখানে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন, সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু তা করেননি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই রাজস্ব ঘাটতি কিভাবে পূরণ করবেন নাইডু? এর একমাত্র উপায় হয় কেন্দ্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ, নয়তো জনগণের উপর অতিরিক্ত পরোক্ষ করের বোঝা চাপানো। আমরা জনগণের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ মেনে নেব না।”
কংগ্রেসের দাবি রাহুল গান্ধীর আন্দোলনের ফল এই সংস্কার। অন্ধ্রপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ-সভাপতি কলানুকোন্ডা শিবাজি বলেন, “রাহুল গান্ধীর জিএসটি বিরোধী আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিক চাপে (বিশেষত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ চাপ) কেন্দ্র বাধ্য হয়েছে এই সংস্কার আনতে।” তিনি বলেন, এটি “দীপাবলির উপহার” নয়, বরং রাজনৈতিক চাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত। তিনি জিএসটি সংস্কারকে বিজেপির রাজনৈতিক নাটক বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন এর কৃতিত্ব “INDIA জোট ও রাহুল গান্ধীর”।
কংগ্রেস দাবি করেছে:
রাজস্ব হারানো রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এমএসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) খাতে কোনো বাস্তব ছাড় নেই।
কৃষি খাতে এখনো ভারী কর চাপ আছে।
‘জিএসটি হয়রানি’ নামের অধীনে করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
পেট্রল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে হবে।
সিমেন্ট ও স্টিলের ওপর কর কমিয়ে ৫% করতে হবে।
অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র ভি জয়প্রকাশ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবসময় গরিবদের কল্যাণকে সামনে রেখে কাজ করেন। এই কর হ্রাসে গরিব, কৃষক ও মধ্যবিত্ত পরিবার সরাসরি উপকৃত হবেন।”