কলকাতা: অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক হওয়া সোনালি বিবিদের (Sonali Bibi) পক্ষে আরও এক বড় রায়। তবে এবার রায় ভারতের তরফে নয়, বরং, সোনালিদের ‘ভারতীয় নাগরিক’ বলল বাংলাদেশ হাইকোর্ট (Bangladesh High Court)। শুক্রাব্র এক্সের পোস্টে ঢাকা-স্থিত বাংলাদেশ হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ তথা পরিযায়ী কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)।
https://x.com/SamirulAITC/status/1976503387069063521
কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশ যাদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য এত চেষ্টা করেছিল, তারাই এখন ভারতীয় বলে প্রমাণিত হয়েছেন। শুধু আমরা নয়, বাংলাদেশের হাইকোর্টও জানিয়েছে যে তাঁরা ভারতীয়। প্রমাণ স্বরূপ পুশব্যাক হওয়া মানুষদের আধার কার্ড নম্বর ও বাসস্থানের নথি দর্শিয়েছে বাংলাদেশ আদালত”।
সোনালিদের ফিরিয়ে নিতে ভারতীয় হাই কমিশনকে নির্দেশ বাংলাদেশ হাইকোর্টের
বাংলাদেশে পুশব্যাক হওয়া বীরভূমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি (Sonali Bibi) সহ আরও ৬ জনকে কেন্দ্রের ‘বাংলাদেশী’ তকমার দাবীকে খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদেরকে দেশে ফেরানর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার সোনালি বিবিদের ভারতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনকে (Indian High Commission) নির্দেশ দিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এই নির্দেশের নিরিখে একটি প্রতিলিপি প্রকাশ্যে আসলেও বাংলাদেশ হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে এখনও নীরব ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পুশব্যাক হওয়ার পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে সোনালি সহ বাকি ছয়জনের জামিনের শেষ শুনানি হয়েছে। তবে এখনও তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। আগামী ২৩ অক্টোবর নিম্ন আদালতে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে সামিরুলের তোপ
এদিন এক্সের পোস্টে বিজেপির বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগেছেন সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)। তিনি বলেন, “বাংলা-বিরোধী বিজেপি কীভাবে দরিদ্র বাংলাভাষী মানুষদের উপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে, তাদের বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করছে এবং শুধুমাত্র তাঁদের ভাষার জন্য কীভাবে দেশছাড়া করছে এটি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। আমাদের এখনও মনে আছে, বাংলায় বিজেপির কয়েকজন এজেন্ট কীভাবে মানুষকে রোহিঙ্গা হিসেবে দাগানোর চেষ্টা করেছিল। সেই আক্রমণ আমাকে বা আমার পরিবারকেও রেহাই দেয়নি।”
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব বর্ণনা করে সামিরুল লেখেন, “বিজেপির এত দূরভিসন্ধি সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মানুষদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের সাহস জুগিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে যে সোনালী এবং অন্যান্যদের চার সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এখন প্রশ্ন হল, বাংলা বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার সোনালী এবং তার সঙ্গীদের কখন দেশে ফিরিয়ে আনবে?”