বুধবার ১৬,৩০০ কোটি টাকার একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মিশনকে (NCMM) অনুমোদন করলো ভারত সরকার। যার লক্ষ্য দেশের মধ্যে এবং উপকূলীয় এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির অনুসন্ধান করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন পেয়েছে।
ক্যাবিনেট বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, “এই উদ্যোগটির লক্ষ্য হল ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ গুলির আমদানির ওপর স্বাবলম্বী ও শক্তিশালী গড়ে তোলা, যা আত্মনির্ভর ভারত মিশনের (NCMM) একটি মূল উপাদান।”
উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্প, নবায়ন যোগ্য শক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির ভূমিকা অপরিহার্য। ফলে সরকার গত দুই বছরে খনিজ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৪-২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই মিশনের(NCMM) প্রথম ঘোষণা করেছিলেন।
মিশনটি (NCMM) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রকল্প, যার মধ্যে খনিজ অনুসন্ধান, খনি উত্তোলন, প্রক্রিয়াকরণ পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করবে। উদ্যোগটি পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ এবং প্রাইভেট কোম্পানিগুলোকে বিদেশে খনিজ সম্পদ উত্তোলন, স্টকপাইল তৈরি এবং খনিজ প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করবে।
খনিজ খাতকে শক্তিশালী করতে ১৯৫৭ সালের খনি ও খনিজ আইনে সংশোধনী এবং ২৪টি কৌশলগত খনিজ ব্লকের নিলাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভারত, (জিএসআই) অনুসন্ধান তীব্র করতে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১৯৫টি চলমান প্রকল্প এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২২৭টি পরিকল্পিত প্রকল্প চালু হয়েছে । এই মিশন দেশের ভিতরে এবং উপকূলীয় এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির অনুসন্ধান দ্রুততার সঙ্গে করবে।
সূত্রের খবর, মন্ত্রণালয়ের অধীনে খনিজ বিদেশ ভারত লিমিটেড (KBAIL) আর্জেন্টিনার কাতামারকা প্রদেশে ১৫,৭০৩ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করেছে লিথিয়াম অনুসন্ধান এবং খনি উত্তোলনের জন্য।