আজ সোনার এবং রুপোর দাম (Gold Silver Price) শুরু হয়েছে পতনের সাথে। আজ সোনার এবং রুপোর দাম কমেছে এবং বাজারে এই পতন অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই পতন শুধু দেশীয় বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও লক্ষণীয়। আসুন, বিস্তারিত জানি।
আজ সোনার দাম শুরু হয়েছে পতনের সঙ্গে। মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (MCX) এ সোনার এপ্রিল কন্ট্র্যাক্ট ২৯৪ টাকা কমে ৮৫,৭৪০ টাকায় শুরু হয়েছে। এই সময়, এটি ৩০০ টাকা কমে ৮৫,৭৩৪ টাকায় ব্যবসা করছে। সোনার ফিউচার দাম ৮৫,৭৭৫ টাকায় দিনের সর্বোচ্চ এবং ৮৫,৭২০টাকায় দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর আগের এই বছর সোনার ফিউচার দাম ৮৬,৫৯২ টাকায় সর্বোচ্চ পৌঁছেছিল। এই পতন সোনার বাজারে সঙ্কেত দিচ্ছে যে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সোনার বাজারে এত বড় পতন, বিশেষ করে সোনার অতীতের সর্বোচ্চ মূল্য দেখার পর, অনেকেই এর উপর নজর রাখছেন। তবে, সাধারণত সোনা এমন একটি পণ্য যা বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলতে থাকে। এর দাম কমলেই মানুষ বিনিয়োগ করার চিন্তা করেন।
রূপোর দামও শুরু হয়েছে এক তীব্র পতনের সাথে। MCX এ রূপোর মার্চ কন্ট্র্যাক্ট ১৮৫ টাকা কমে ৯৭,৯৫৬ টাকায় শুরু হয়েছে। বর্তমানে রূপোর দাম ২৪৯ টাকা কমে ৯৭,৮৯২ টাকায় ব্যবসা করছে। দিনের সর্বোচ্চ দাম ৯৭,৯৫৬ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ৯৭,৮০১ টাকা ছিল। গত বছর চাঁদের দাম ১,০০,০৮১ টাকায় সর্বোচ্চ ছিল।
রূপোর দাম পতনের পেছনে বিশেষ কারণ থাকতে পারে, কারণ এটি সাধারণত সোনার সাথে সম্পর্কিত থাকে এবং সোনার দাম পড়লে রূপোর দামও কমে। এই পতনের কারণে অনেকেই চাঁদির দাম আরও কমবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার দাম কিছুটা কমেছে। Comex এ সোনার দাম ২,৯১৯.২০ ডলার প্রতি আউন্সে শুরু হয়েছে। গত দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২,৯২৬.৬০ ডলার প্রতি আউন্স। এই সময় সোনার দাম ১১.৯০ ডলার কমে ২,৯১৪.৮০ ডলার প্রতি আউন্সে ট্রেড করছে। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক বাজারেও সোনার দাম কমছে, যা দেশের বাজারেও প্রভাব ফেলছে।
Comex এ রূপোর দাম ৩৩.২১ ডলার প্রতি আউন্সে শুরু হয়েছে। গত দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৩.৩৩ ডলার। এখন এটি ০.১২ ডলার কমে ৩৩.২১ ডলার প্রতি আউন্সে ট্রেড করছে। রূপোর দামও এই পতন চিহ্নিত করছে, যা সোনার দাম কমার কারণেই ঘটছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের পতনের প্রভাব দেশের বাজারে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। সোনার এবং রূপোর ফিউচার দাম কমার কারণে ভারতের বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে যাদের সোনা বা রূপো নিয়ে ব্যবসা বা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে, তাদের জন্য এটি চিন্তার বিষয় হতে পারে।
বাজারের এই ওঠানামা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ সোনা এবং রূপো শুধুমাত্র একধরনের পণ্য নয়, বরং এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত। যাদের কাছে সোনা বা রূপো থাকে, তারা এর দাম বাড়ানোর অপেক্ষায় থাকেন। তবে, বর্তমানে যে পতন দেখা যাচ্ছে তা অনেককে দুভোংগির মধ্যে ফেলেছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, সোনার এবং রূপোর দাম কি আবার বাড়বে? সাধারণত, সোনা এমন একটি পণ্য যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট বা অবিশ্বস্ততার সময়ে বাড়তে থাকে। রূপোর দামও সোনার সাথে সম্পর্কিত, তবে এটি সোনার তুলনায় আরও বেশি ওঠানামা করে। সুতরাং, এ সময় পরবর্তী দিক দিয়ে কী হবে তা অনুমান করা মুশকিল।
যতই দাম কমুক, সোনা এবং রূপো পণ্য হিসেবে অনেকেই এগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন। তাই, এই পতন যদিও কিছু সময়ের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে, তবে অনেকে এটি ভালো সুযোগ হিসেবেও দেখছেন।