পেটের ভিতরে বড় কাচের গ্লাস, অপারেশন করতে গিয়ে চমকে উঠলেন চিকিৎসকরাও

বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বছর ৫৫-র এক ব্যক্তি। সেইসঙ্গে ছিল কোষ্ঠকাঠিন্য। মুঠোমুঠো ওষুধ খেয়েও পেটের ব্যথা কমেনি। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়নি। তাই বাঁচার তাগিদে…

পেটের ভিতরে বড় কাচের গ্লাস, অপারেশন করতে গিয়ে চমকে উঠলেন চিকিৎসকরাও

বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বছর ৫৫-র এক ব্যক্তি। সেইসঙ্গে ছিল কোষ্ঠকাঠিন্য। মুঠোমুঠো ওষুধ খেয়েও পেটের ব্যথা কমেনি। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়নি। তাই বাঁচার তাগিদে ওই ব্যক্তি চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন। আর তারপরই আশ্চর্যজনক কাণ্ড।

ওই ব্যক্তির পেটে কি ধরনের সমস্যা রয়েছে তা জানতে চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করেন করেন। করেন আলট্রাসনোগ্রাফি। তার রিপোর্ট দেখেই চক্ষুচড়কগাছ চিকিৎসকদের। চিকিৎসকরা দেখেন ওই ব্যক্তির কোলনে একটি বড় মাপের কোন জিনিস আটকে রয়েছে। তবে সেটি যে একটি বড় ধরনের কাচের গ্লাস এটা চিকিৎসকরা কল্পনাও করতে পারেননি। আজব এই রোগীর সন্ধান মিলেছে বিহারের মুজফফরপুরের মাদিপুর এলাকায়। ওই রোগী বৈশালি জেলার বাসিন্দা।

রবিবার চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে রোগীর পায়ুদ্বার থেকে ওই গ্লাসটি বের করেছেন। ওই ব্যক্তি আপাতত ভালই আছেন। কিভাবে একটি বড় মাপের গ্লাস রোগীর পায়ুদ্বারে পৌঁছে গেল তা এখনও পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারেননি চিকিৎসকরা। অন্যদিকে রোগীর দাবি, তিনি কোনও এক সময় ভুল করে গ্লাসটি গিলে ফেলেছিলেন। ওই রোগী বলেছেন, জল খেতে গিয়ে তিনি নাকি ভুল করে গিলে গ্লাসটি গিলে ফেলেছিলেন।

Advertisements

তবে চিকিৎসকরা রোগীর কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। চিকিৎসকরা পাল্টা বলেছেন, কোনওভাবেই এ ধরনের একটি বড় মাপের গ্লাস গলা দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, কোনওভাবে পায়ুদ্বার দিয়েই গ্লাসটি শরীরের ঢোকানো হয়েছিল। যদি এটা হয়ে থাকে, তাহলে কেন ওই ব্যক্তি এভাবে নিজের শরীরের একটি আস্ত কাঁচের গ্লাস ঢুকিয়েছিলেন তার কোনও উত্তর এখনও মেলেনি।