‘গ্যাস চেম্বার’ দিল্লি! তদুপরি নতুন ভাইরাস সংক্রমণ!

নয়াদিল্লি: একে দূষণের গোদ! তার উপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে ভাইরাস সংক্রমণ! এই আবহে ত্রাহি ত্রাহি রব দিল্লিবাসীর (Delhi)। সম্প্রতি একটি সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি-NCR (Delhi-NCR) এর ৭৫% বাড়িতে কমপক্ষে একজন অসুস্থ। যার কারণ, বিষাক্ত বাতাস এবং ভাইরাসের সংক্রমণ (Virus)। কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম ‘লোকালসার্কেল’-দ্বারা দিল্লি, গুরুগ্রাম, নয়ডা, ফরিদাবাদ এবং গাজিয়াবাদের ১৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষের উপর জরিপ চালানো হয়েছে।

Advertisements

সেপ্টেম্বরে যেখানে ৫৬% বাড়িতে কমপক্ষে একজন অসুস্থ থাকার ঘটনা ধরা পড়েছিল, অক্টোবরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশে! চিকিৎসকদের মতে, দিল্লিতে বর্তমানে H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জেরে মানুষের মধ্যে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং ক্লান্তির লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানাচ্ছেন, পুরোপুরি সুস্থ হতে ১০ বা তারও বেশিদিন সময় লাগছে। সার্ভে রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মূলত শিশু, বৃদ্ধ এবং যারা আগে থেকেই অসুস্থ, তাঁদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।

   

ধোঁয়াশা ভরা বাতাসে বিষ!

উৎসবের আনন্দের রেশ যেন ফিকে হয়ে গিয়েছে তার পরবর্তী দূষণ দেখে। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পর এবার প্রাণ খুলে বাজি ফাটিয়েছেন দিল্লিবাসী। আর তার পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদেরই। রাজধানীর AQI (বায়ু মানের সূচক) ৪০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। খড় পোড়ানো, আতশবাজির ধোঁয়া এবং স্থানীয় দূষণ সবকিছু মিলেমিশে রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাতাসকে বিষাক্ত করে তুলেছে। PM2.5 এর মাত্রা 350 µg/m³-এ পৌঁছেছে, যা WHO-এর নিরাপদ সীমার 10 গুণ বেশি। এর মানে হল প্রতিটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে বিষ প্রবেশ করছে।

Advertisements

২৫% বাড়ি বাদে বাকি সকলের মধ্যে দেখা দিচ্ছে সংক্রমণের লক্ষণ!

সার্ভেতে দেখা গিয়েছে ১৭% বাড়িতে ৪ বা তারও বেশি মানুষ অসুস্থ! ২৫% বাড়িতে ২-৩ জন দূষণ এবং ভাইরাস সংক্রমণের শিকার। পাশপাশি, ৩৩% বাড়িতে ১ জন করে অসুস্থ হয়েছেন। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, গলা ব্যথা, চোখ দিয়ে জল পড়া এবং মাথাব্যথা। চিকিৎসকরা বলছেন, এগুলি বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসার লক্ষণ। সার্ভেতে অংশগ্রহণ করা মাত্র ২৫% বাড়ির মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ।