নয়াদিল্লি: “ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। তবে কোনও রাজনৈতিক চাপে এই সিদ্ধান্ত নিইনি”, বিধানসভায় আরএসএস-এর সঙ্গীত গাওয়ার বিতর্ক প্রসঙ্গে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি এই কথা জানালেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা আর অশোককে বিঁধতেই তিনি আরএসএস-এর সঙ্গীত গেয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করতে নয়।
এরপর তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “কিন্তু আমার শব্দের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি শুধুমাত্র বিরোধীদের বিঁধতেই ওই গান গেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার কিছু বন্ধু রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তার ভুল ব্যাখ্যা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে”। বিতর্ক প্রসঙ্গে দলের বেশ কিছু সহকর্মীর কথা তাঁর পছন্দ হয়নি বলে স্পষ্টত জানিয়েছেন শিবকুমার।
সেইসঙ্গে কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারের প্রতি তার আনুগত্য অটুট বলেও স্পষ্ট জানালেন তিনি। এদিন কার্যত ঘোষণা করে শিবকুমার বলেন, “জন্মেছি কংগ্রেস হয়ে, মরব কংগ্রেস হয়েই”। শিবকুমার বলেন, “গান্ধী পরিবার আমার ভগবান, আর আমি তাঁদের ভক্ত।” বিগত তিন দশক ধরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের অধীনে কাজ করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
শিবকুমার বলেন, মহত্মা গান্ধীর শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য তিনি নাকি ১০০ টি কংগ্রেস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন। যেগুলি হবে কংগ্রেসের ‘মন্দির’। আমি যেখানেই থাকি না কেন, যেভাবেই থাকি না কেন, আমি আমার দলের ইতিহাসের অংশ হতে চাই”।
উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করে ৪৭ বছর বয়সে বিধানসভার সদস্য হয়েছি। কংগ্রেস, গান্ধী পরিবার, আরএসএস, বিজেপি, জনতা দল (সেকুলার), বামপন্থী এবং অন্যান্য সব রাজনৈতিক দলের ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশুনো করেছি। তবে তাঁর ক্ষমা চাওয়ার পেছনে যে কোনও রাজনৈতিক চাপ নেই সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করেন শিবকুমার। তিনি বলেন, “যদি কারও মনে আঘাত লেগে থাকে তাঁর জন্য আমি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।”