২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের (Pahalgam Terror Attack) অনন্তনাগ জেলার বেইসারান ভ্যালিতে একটি মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলা ঘটে, যাতে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন। এই হামলায় ২৫ জন ভারতীয় ও ১ জন নেপালি নাগরিকের মৃত্যু হয়, এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হন। হামলাকারীরা (Pahalgam Terror Attack) ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হিন্দু ও খ্রিস্টান পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই নৃশংস হামলার পর, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক (Pahalgam Terror Attack) সংস্থা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, জি-৭ (G7) দেশগুলি—কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন—একটি যৌথ বিবৃতিতে হামলার (Pahalgam Terror Attack) তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারত ও পাকিস্তানকে সর্বাধিক সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য উৎসাহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের (Pahalgam Terror Attack) প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা
হামলার পরপরই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ভারত (Pahalgam Terror Attack) দাবি করে যে পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল, যদিও পরবর্তীতে তারা এই দাবি প্রত্যাহার করে। ভারত পাকিস্তানের (Pahalgam Terror Attack) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলেছে, এবং পাকিস্তানও পাল্টা অভিযোগ করেছে। এই পরিস্থিতি সীমান্তে গোলাবর্ষণ, ড্রোন হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের মতো সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ভারত সরকার (Pahalgam Terror Attack) হামলার পরপরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সীমান্তে ড্রোন নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী হামলার সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করতে অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া, সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নাগরিক প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ
হামলার পর, ভারতজুড়ে (Pahalgam Terror Attack) বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ ও মোমবাতি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কাশ্মীরের অনন্তনাগে ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসের (Pahalgam Terror Attack) বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা বলেছেন, “আমরা সাধারণ কাশ্মীরিরা শান্তির পক্ষে এবং সবসময় শান্তির পক্ষে দাঁড়াবো।” তবে, হামলার পর কাশ্মীরি (Pahalgam Terror Attack) মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ইসলামোফোবিয়া ও বৈষম্যের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
পহেলগাঁও হামলা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের জন্য একটি গুরুতর সংকট সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান সত্ত্বেও, উভয় দেশ নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছে। এই পরিস্থিতি(Pahalgam Terror Attack) আরও বড় ধরনের সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা কেবল দক্ষিণ এশিয়ার নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে। শান্তি ও স্থিতিশীলতা (Pahalgam Terror Attack) প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অপরিহার্য।