ফুচকা বিক্রি করে বছরে ৪০ লাখের বেশি আয়! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটি এক বাস্তব ঘটনা, যা প্রশাসনের নজরে আসার পর এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, একটি ফুচকা বিক্রেতার ব্যবসা এতটাই বেড়ে গেছে যে, তার আয় বছরে ৪০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তার এই আয়ের পরিমাণ জানাজানি হওয়ার পর, প্রশাসন তাকে জিএসটি (GST) দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে।
রেকর্ড ব্যবসা, বর্ষবরণের রাতে ১০ লক্ষ রুম বুকিং, নজির গড়ল OYO
এ ঘটনায় নোটিসের ছবি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে (social media) ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে নানা মন্তব্য এবং আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই ছবিটি দেখে অনেকেই মজা করে বলছেন, “ফুচকা বিক্রেতাদের আয় দেখে আর তাদের পেশার দিকে তাকিয়ে মনেই হচ্ছে না, তারা শুধু ফুচকা বিক্রি করে, নাকি কোনও বড় ব্যবসা করছেন!” কেউ কেউ তো এমন মন্তব্যও করেছেন, “এই ফুচকা বিক্রেতা যদি এমনভাবে আয় করতে পারেন, তাহলে আমাদের কেন এত পরিশ্রম করতে হবে?”
এখানে মূলত যে বিষয়টি নজর কেড়েছে, তা হলো এমন একটি ছোটখাটো ব্যবসা, যা সাধারণত প্রান্তিক ব্যবসায়ী বা পথচারী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত, সেটি আজকের দিনে বিশাল আয় করে ফেলতে পারে। ফুচকা বিক্রি করতে করতে কেউ বছরে ৪০ লাখ টাকার মতো আয় করতে পারে, এটি অনেকের কাছে একটি চমকপ্রদ ঘটনা। তবে, এটি কেবল একটা কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং একটি নতুন ধরনের ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি, যা বর্তমান সময়ে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
দৈনিক ৪৮ কোটি! বিশ্বের সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত কর্মী জগদীপ
এটি বুঝিয়ে দেয়, ফুচকা বিক্রেতাদের মতো ব্যবসায়ীও যদি সঠিক কৌশল এবং প্রচেষ্টা দিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেন, তাহলে তা যথেষ্ট লাভজনক হতে পারে। ব্যবসার বৃদ্ধি, বিপণন কৌশল, অনলাইন বিক্রির সুযোগ এবং বিশেষ করে গ্রাহকদের প্রতি বিশ্বস্ততা তৈরি করার মাধ্যমে এমন ছোটখাটো ব্যবসাও বড় আয় করতে পারে। সেইসাথে, এটি প্রতিফলিত করে যে, বর্তমানে ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রেও জিএসটি দেওয়ার মতো প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যাতে সরকারের রাজস্বের অঙ্গ হিসাবে এই ব্যবসা অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি না পায়।
এদিকে, ফুচকা বিক্রেতাকে জিএসটি দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলেও, তার এই আয়ের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই আবার মজার ছলে পেশা পরিবর্তনের কথাও বলেছেন। অনেকের মতে, এই ধরনের আয় দেখে অনেকেই ফুচকা বিক্রির দিকে ঝুঁকতে পারেন, এবং তাদের নতুন পেশায় সফলতার পথ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
Motorola G64 5G ফোনে 2500 টাকা ছাড়, রয়েছে 6000mAh ব্যাটারি এবং 50MP ক্যামেরা
তবে, প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে যে, এই ধরনের ব্যবসায়িক আয় যদি সরকারি নীতির আওতায় আসে, তাহলে তাকে সঠিকভাবে কর প্রদান করতে হবে, যাতে ব্যবসায়ী তার আয়ের জন্য আইনগতভাবে দায়বদ্ধ থাকে। যদিও এটি একটি বাস্তব চিত্র, তবুও এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের ব্যবসায়িক ধারণা এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।