ED Allegations: মদ কেলেঙ্কারিতে ১০০০ কোটি আত্মসাৎ চৈতন্যের: ED

রায়পুর, ১৬ সেপ্টেম্বর: সাত সকালে ইডি হানা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে (ED Allegations)। প্রাক্তন ছত্তিশগড় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ছেলে চৈতন্য বাঘেলকে কেন্দ্র করে মাল্টি-কোটি ‘লিকার স্ক্যাম’…

ED Allegations to chaitanya

রায়পুর, ১৬ সেপ্টেম্বর: সাত সকালে ইডি হানা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে (ED Allegations)। প্রাক্তন ছত্তিশগড় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের ছেলে চৈতন্য বাঘেলকে কেন্দ্র করে মাল্টি-কোটি ‘লিকার স্ক্যাম’ কেলেঙ্কারিতে নতুন মোড় নিয়েছে তদন্ত। ইডি দাবি করেছে যে, চৈতন্য বাঘেল এই স্ক্যামের পিছনে সিন্ডিকেটের প্রধান ছিলেন এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার আত্মসাৎ করেছেন।

এই অভিযোগে ইডি সোমবার রায়পুরের এক বিশেষ আদালতে ৭০৩৯ পৃষ্ঠার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছে, যাতে চৈতন্যকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা রাজনৈতিক বিতর্ককে নতুন মোড় দিয়েছে। যেখানে কংগ্রেস নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ‘দুর্ব্যবহার’ অভিযোগ তুলেছে।

   

ছত্তিশগড়ে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের আমলে ঘটে এই ‘লিকার স্ক্যাম।’ এই দুর্নীতির অভিযোগ এতে মদের অবৈধ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের রাজস্বে কোনো অর্থ আসেনি।

ফলে রাজ্যের কোষাগারে প্রায় ২১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইডির দাবি, এই অবৈধ কমিশন ‘রাজ্যের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশে’ বিতরণ করা হতো। তার মধ্যে চৈতন্য বাঘেলের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। চৈতন্য ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এবং বাঘেল পরিবারের সবজি খামারের দায়িত্বও পালন করতেন।

ইডির চার্জশিট অনুসারে, চৈতন্য বাঘেল ‘প্রসিডস অফ ক্রাইম’ এর ১৬.৭০ কোটি টাকা গ্রহণ করেছেন। এই টাকা তিনি তার রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ব্যবহার করে কালো টাকা সাদা করেছেন । এই অর্থ তার ‘ভিত্তল গ্রিন প্রজেক্ট’ এবং অন্যান্য রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে। সংস্থার পরামর্শদাতা সৌরভ কুমার পান্ডে বলেছেন, “চৈতন্য ১০০০ কোটিরও বেশি কালো টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

Advertisements

তিনি আনওয়ার ধেবর (রায়পুর মেয়র এবং কংগ্রেস নেতা আইজাজ ধেবরের ভাই) এবং অন্যদের সঙ্গে মিলে অর্থ তৎকালীন ছত্তিশগড় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কোষাধ্যক্ষ রাম গোপাল অগরওয়ালের কাছে পাঠিয়েছেন।” এছাড়া, চৈতন্যের নির্দেশে ৮০-১০০ কোটি টাকা কে.কে. শ্রীবাস্তবকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযুক্ত লক্ষ্মীনারায়ণ বাঁসাল (উপনাম পাপ্পু) তার বক্তব্যে বলেছেন।

চৈতন্য বাঘেলকে ১৮ জুলাই ২০২৫ তার ৩৮তম জন্মদিনে দুর্গ জেলার ভিলাইয়ের তার বাড়িতে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২২ জুলাই তাকে ১৪ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয়। ইডির তদন্তে একটি হার্ড ডিস্ক থেকে ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনায় জখম চার পরীক্ষার্থী, হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা

সংস্থা আরও বলেছে, এই অর্থের শেষ ব্যবহার এখনও তদন্তাধীন, এবং বাঘেল পরিবারের কাছের সহযোগীদের কাছে অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজ্যের এক্সাইজ বিভাগের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের এই সিন্ডিকেট ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল।