নতুন বছরে রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। চলছে তার প্রস্তুতি। নবনির্মিত রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে দ্রুত বদলাচ্ছে অযোধ্যার ছবি। রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণ থেকে আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর। সরযু তীরের সৌন্দর্যায়নের ছোঁয়ায় বদলাচ্ছে অযোধ্যার অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। সেজে উঠছে রাম জন্মভূমি। রামলালার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসছে উপহার। ভালবাসা উজাড় করে দিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা। উপহার আসছে বিদেশ থেকেও।
পুরাণে বলা হয়, রাম লালার মাতুলালয়, ছত্তিসগঢ়ের চাঁদখুড়িতে। আর নেপালের জনকপুরে জন্ম হয় সীতার। সূত্রের খবর, অযোধ্যায় রাম-লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে এই দুই জায়গা থেকে আসছে প্রচুর উপহার।
প্রায় তিন কুইন্টাল চাল আসছে ছত্তিসগঢ় থেকে। প্রচুর ফল, পোশাক আসছে জনকপুর থেকে। এছাড়াও নেপাল থেকে আসছে বিভিন্ন ধরনের গয়না, বাসন, এবং মিষ্টি। মন্দিরের জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে ২ হাজার ১০০ কেজি অষ্টধাতু। এছাড়াও ভদোদরা থেকে ১০৮ ফুট লম্বা ধুপ, পাটনার মহাবীর ট্রাস্ট থেকে পাঠানো হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার সোনার ধনুক। ৬০০ কেজির এক ঘণ্টা এসেছে রামেশ্বরম থেকে।
অন্যদিকে, রামমন্দির উদ্বোধনের আগে অনেকেই নিজের শরীরে, তার ছাপ রাখছেন। কাজ বেড়েছে ট্যাটু শিল্পীদের। অনেকেই হাতে তৈরি রামমন্দিরের মডেলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বাজারে। বদলে যাওয়া রামনগরী অযোধ্যায় গাইডের কাজ করছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, মূল মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ২ দশমিক ৭ একর জমির ওপরে। মোট বিল্ড আপ এরিয়া ৫৭ হাজার ৪০০ বর্গফুট। মন্দিরের মোট দৈর্ঘ ৩৬০ ফুট। প্রস্থে ২৩৫ ফুট। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মন্দিরের চূড়া পর্যন্ত মোট উচ্চতা ১৬১ ফুট। রামমন্দিরের ৩টি তলের প্রতিটির উচ্চতা ২০ ফুট করে। মন্দিরের প্রথম তলে মোট স্তম্ভ রয়েছে ১৬০টি। দ্বিতীয় তলে স্তম্ভের সংখ্যা ১৩২, আর তৃতীয় তলে ৭৪টি স্তম্ভ রয়েছে। রাম মন্দিরের মোট ফটকের সংখ্যা ১২। একেবারে ধ্বজার নীচে থাকবে গর্ভগৃহ। সেখানেই অধিষ্ঠিত হবেন রামলালা। মন্দিরে প্রবেশের পথ বা সিঁড়ির নাম দেওয়া হয়েছে সিংহদ্বার। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলেই সোজা দেখা যাবে গর্ভগৃহ। গর্ভগৃহে অধিষ্ঠিত থাকবে রামলালা।