লটারি, ক্যাসিনো, অনলাইন গেম, বাজির সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে একই আসনে রাখার কথা ভাবছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে কারণেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ২৮ শতাংশ কর বসানোর বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।
সাধারণত দেশে পরোক্ষ করের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে জিএসটি কাউন্সিল। সূত্রের খবর জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ২৮ শতাংশ কর চাপানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
জিএসটি কাউন্সিলের মনোনীত আইন কমিটি খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে অনুমোদন চেয়ে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে আবেদন করবে। তারপরই জিএসটি কাউন্সিল ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত সব ধরনের বিষয়ে ২৮ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব গ্রহণ করবে।
জানা গিয়েছে, জিএসটি কাউন্সিলের আইনি কমিটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ২৮ শতাংশ জিএসটি চাপানোর প্রস্তাব দিতে চলেছে। কাউন্সিলের সদস্যরা এই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। ওই আলোচনাতেই স্থির হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি উপর কী পরিমাণ কর চাপানো হবে। ২৮ শতাংশ কর চাপানো যুক্তিযুক্ত কিনা তা নিয়েও চলবে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
উল্লেখ্য, বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ৩০ শতাংশ কর ধার্য করার কথা বলেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ৩০ শতাংশ কর না চাপিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ২৮ শতাংশ কর চাপাতে চলেছে মোদী সরকার। যদিও ভারতে এখনও বিটকয়েন-সহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির আইনত অবস্থান খুব একটা স্পষ্ট নয়। তবে চলতি বছরের বাজেট প্রস্তাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর কর চাপানোর ঘোষণায় অনেকেই মনে করছেন, বিষয়টিকে আইনি ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মোদী সরকার।
বিশেষজ্ঞরা এটাও বলেছেন যে, অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন ডিজিটাল মুদ্রার উপর কর চাপানোর মানেই তাকে আইনি ছাড়পত্র দেওয়া নয়। তাই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও ধারণা মেলেনি।
তবে শুধু ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়, শোনা যাচ্ছে দেশের ১৪৩টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপরেও করের হার পর্যালোচনা করতে চায় মোদী সরকার। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু পণ্যের উপর করের হার বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি তাই হয় সেক্ষেত্রে আরও সমস্যায় পড়বে আমজনতা।