রাজ্যে আচমকা ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, মৃত ২৬, ক্ষতিগ্রস্ত ১.৬১ লক্ষেরও বেশি মানুষ

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম। উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলা থেকে শুরু করে বহু রাজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। তবে এবার নতুন করে শিরোনামে…

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম। উত্তরবঙ্গের একের পর এক জেলা থেকে শুরু করে বহু রাজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। তবে এবার নতুন করে শিরোনামে উঠে এল আসাম। জানা গিয়েছে, আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

বন্যার জেরে ১৫ টি জেলার ১.৬১ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারী বৃষ্টি, বন্যার কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদিকে আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) বন্যার রিপোর্ট অনুসারে, মঙ্গলবার হাইলাকান্দি জেলায় বন্যার জলে ডুবে একজন মারা গেছেন।

   

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ৩০৯টি গ্রামের ১.০৫ লক্ষ মানুষ চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র ও বরাক ছাড়াও বিভিন্ন শাখা নদীর জলস্তর বাড়ছে। যার জেরে রাজ্যের ১৪টি জেলা বন্যার কবলে। আবহাওয়া দফতর রাজ্যে নতুন করে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ায় আগামী দিনে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কামপুরে কপিলি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যে কারণে বহু মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আসামের তামুলপুর, বঙ্গাইগাঁও, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, উদালগুড়ি, দারাং, ধেমাজি, নগাঁও, হোজাই, চিরাং, বরপেটা, বাকসা, নলবাড়ি, গোয়ালপাড়া জেলার বন্যায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করিমগঞ্জ জেলা, যেখানে বন্যার জল অনেক বাড়িতে ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। করিমগঞ্জ জেলার ১৯২টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে বঙ্গাইগাঁও জেলার ৫৯টি, নগাঁওয়ের ১১টি, তামুলপুর জেলার ১৩টি এবং হোজাই জেলার ৯টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।