Delhi Flood Update: যমুনার জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ কারণে নদীর নিম্নাঞ্চলে বন্যার সম্ভাবনা বেড়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টায় রাজধানীর পুরাতন রেলওয়ে সেতুতে যমুনা নদীর জলের উচ্চতা ২০৩ দশমিক ৩৩ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। নদীর সতর্কতা স্তর ২০৪.৫০ মিটার। আজ সকাল ৮টায় হাতিনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে ২.৭৯ লক্ষ কিউসেক জল যমুনা নদীতে ছাড়া হয়েছে।
একই সঙ্গে রবিবার সন্ধ্যায় যমুনা খদ্দর এলাকায় ঘোষণা দেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন। ওপরের এলাকার মানুষের জন্য তাঁবু বসানো শুরু হয়েছে। যমুনা খদ্দার এলাকায় কৃষিকাজ করা লোকজনকে জলের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
PWD মন্ত্রী অতীশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। যমুনার আশেপাশে বসবাসকারীদের নিরাপদে অন্য জায়গায় পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বন্যা প্রতিরোধে ব্যবহৃত সমস্ত সরঞ্জামও পরিদর্শন করা হয়েছে। দিল্লির অভ্যন্তরে ১৬টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ২৪ ঘন্টা সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি করা হচ্ছে। দিল্লি সরকার নদী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য খাবার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করছে।
২০৫.৩৩ মিটার বিপদ চিহ্ন
রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুরাতন লোহা সেতুর কাছে যমুনার জলস্তর প্রায় ২০৩.৫৭ মিটার পরিমাপ করা হয়েছিল। এখানে সতর্কতা স্তর ২০৪.৫ মিটার এবং বিপদ চিহ্ন ২০৫.৩৩ মিটার চিহ্নিত করা হয়েছে।
১৯৭৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল
১৯৭৮ সালে দিল্লিতে মারাত্মক বন্যা হয়েছিল, সেই বছর হথিনী কুন্ড ব্যারাজ থেকে ২২৪৩৯০ কিউসেক জল একযোগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে লোহা পুলে যমুনার জলস্তর ২০৭.৪৯ মিটারে পৌঁছেছিল। এর পরে ২০১০ এবং ২০১৩ সালেও দিল্লিতে বন্যা হয়েছিল, উভয়বার লোহা পুলে যমুনার জলস্তর ২০৭ মিটার অতিক্রম করেছিল।