ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার আবহে যাত্রী নিরাপত্তাকে (Flight service) সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ফের বড় সিদ্ধান্ত নিল দুই বড় এয়ারলাইন সংস্থা—এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো। মঙ্গলবার, ১৩ মে’র জন্য দেশের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর (Flight service) থেকে সমস্ত উড়ান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের (Flight service) মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও, সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, “যাত্রীদের নিরাপত্তার (Flight service) মাথায় রেখে এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মঙ্গলবার জম্মু, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সমস্ত উড়ান বাতিল করা হচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। যাত্রীদের (Flight service) আমরা পরবর্তী আপডেট জানাবো।”
একইসঙ্গে ইন্ডিগো তাদের এক্স হ্যান্ডেল(Flight service) পোস্টে জানিয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জম্মু, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, শ্রীনগর এবং রাজকোট থেকে কোনও উড়ান ওঠানামা করবে না মঙ্গলবার।”
এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়ে, যখন সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাস এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ চরমে। গত ৭ মে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছায়। তার জবাবে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যা একাধিক জঙ্গি(Flight service) ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান আকাশপথে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে।
এই ক্রমাগত উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার গত ৯ মে একটি জরুরি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মোট ৩২টি বিমানবন্দর থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সব ধরনের অসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই তালিকাতেই ছিল মঙ্গলবার (Flight service) বাতিল হওয়া এই সাতটি বিমানবন্দরও(Flight service) ।
তবে শনিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের তরফ থেকে সংঘর্ষবিরতির (Flight service) প্রস্তাব আসে এবং ভারত তা গ্রহণ করে। ওইদিন বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হয় সংঘর্ষবিরতি। পরিস্থিতি (Flight service) শান্ত হওয়ায় সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৩২টি বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার নির্দেশিকা(Flight service) জারি করা হয়, যা তখনই কার্যকর হয়।
তবে মঙ্গলবার ফের যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এয়ার ইন্ডিয়া (Flight service) ও ইন্ডিগো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে সাতটি বিমানবন্দর থেকে সমস্ত উড়ান বাতিল (Flight service) করে দেয়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সীমান্তে এখনও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি পুরোপুরি কাটেনি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি (Flight service) কার্যকর হলেও গোটা অঞ্চল এখনো অস্থির। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের হুমকি এখনও জারি রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা (Flight service) নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিমান সংস্থাগুলি। ফলে এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
যাত্রীদের একাংশ অবশ্য ক্ষুব্ধ, কারণ অনেকেই পূর্ব নির্ধারিত যাত্রাপথ বাতিল (Flight service) করতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও সংস্থাগুলি রিফান্ড বা বিকল্প ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সব মিলিয়ে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (Flight service) সাময়িক শান্তির পরও বিমানের আকাশে(Flight service) এখনও রয়ে গেছে অস্থিরতা ও সতর্কতার ছায়া। আগামী দিনে পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হয়, তার উপর নির্ভর করছে বিমান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে কিনা।