হিমাচল প্রদেশের মনিকরণে মেঘ-ভাঙা বৃষ্টি, ক্ষতিগ্রস্থ মদের দোকান!

মঙ্গলবার ভোরবেলা, কুলু (Kullu) জেলার মানিকরণ (Manikaran) উপত্যকায় মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) ফলে তোশ নদীর মধ্যে দিয়ে একটি হরপা বান (Flashflood) বয়ে যায়, যার ফলে অবকাঠামোর…

মঙ্গলবার ভোরবেলা, কুলু (Kullu) জেলার মানিকরণ (Manikaran) উপত্যকায় মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) ফলে তোশ নদীর মধ্যে দিয়ে একটি হরপা বান (Flashflood) বয়ে যায়, যার ফলে অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়। স্থানীয় প্রশাসন সঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে, এই হরপা বান (Flashflood)কাসোল বাজারে পৌঁছতে পারত, এবং তার পরিণতি হতে পারত মারাত্মক।

বন্যায় দুটি দোকান প্লাবিত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে একটি মদের দোকান (Wine shop) এবং একটি স্থানীয় ক্যাফে (Cafeteria)। এছাড়াও, এই অঞ্চলে একটি সড়ক সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।এসডিএম কুল্লু বিকাশ শুক্লার মতে, এলাকায় ড্রেজিং প্রচেষ্টা একটি বড় বিপর্যয় প্রতিরোধে করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি জানিয়েছেন যে এই ব্যবস্থা না নিলে, হরপা বান (Flashflood) কাসোল বাজারে (Kasauli Bazaar) পৌঁছতে পারত, যার পরিণতি হতো মারাত্মক।

   

এই বর্ষার মরসুমে কুলু জেলায় এই ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা ঘটল। এর আগে, মানালির কাছে অঞ্জনি মহাদেব এলাকায় অনুরূপ একটি আকস্মিক বন্যায় তিনটি বাড়ি ভেসে গিয়েছিল এবং এটি মানালি-লেহ মহাসড়ক দীর্ঘ সময়ের জন্য অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। এসডিএম শুক্লা আশ্বস্ত করেছেন যে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে কর্তৃপক্ষ আরও সমস্যা এড়াতে এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Patiala Politics (@patialapolitics)

এর আগে বৃহস্পতিবার হিমাচলের কুলু জেলায় মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির ফলে হরপা বান আসে এবং ৩ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় । বুধবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Wayanad Landslide: ওয়েনাড ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, নামল সেনাবাহিনী, রুট পরিবর্তন একধিক ট্রেনের

আধিকারিকদের মতে, ৩ নম্বর জাতীয় সড়কের ধুন্দি এবং পালচান ব্রিজের মধ্যে প্রসারিত অংশটি, যা লেহ-মানালি রোড নামেও পরিচিত, তাতে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। মানালি এলাকার অঞ্জনি মহাদেব নালায় মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির কারণেই এই ঘটনা ঘটে। লাহৌল এবং স্পিতি পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে লাহৌল এবং স্পিতি থেকে অটল টানেলের উত্তর পোর্টাল হয়ে মানালির দিকে যাওয়া যানবাহনগুলি রোহতাংয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । পুলিশের জারি করা একটি উপদেশকে বলা হয়েছে যে এই রাস্তা যেন শুধু খুব প্রয়োজন হলে তবেই ব্যবহার করেন যাত্রীরা। গাড়ি চালনার সময় চালকদের সাবধানতা অবলম্বন করতেও বলা হয়েছে।

বুধবার রাতে রাজ্যে ৬২টি ট্রান্সফরমার বিঘ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মান্ডিতে ১২টি, কিন্নুরে দুটি এবং কাংড়া জেলার একটি সহ মোট ১৫টি রাস্তা যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল । একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে তবে কর্মকর্তারা এখনও এই খবর নিশ্চিত করতে পারেননি।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বুধবার হিমাচল প্রদেশের বিচ্ছিন্ন স্থানে ২৮শে জুলাই পর্যন্ত আগামী চার দিনের জন্য ভারী বৃষ্টির ‘হলুদ’ সতর্কতা জারি করেছিল । এতে রাজ্যে গাছপালা এবং স্থায়ী ফসল, দুর্বল কাঠামো এবং কাঁচা বাড়িগুলির ক্ষতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল । প্রবল বাতাস এবং নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার কোথাও বলা হয়েছিল।

রাজ্যের জরুরি অপারেশন সেন্টার জানিয়েছে যে ২৭ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যে বৃষ্টি-সম্পর্কিত ঘটনায় মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা প্রায় ৩৮৯ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন করেছে রাজ্যকে।