সিকিমের লাচেন, বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী হয়ে আজ আরও একবার বরফের চাদরে ঢেকে গেল। গতকাল রাত থেকেই তুষারপাত (Snowfall) শুরু হয়েছে উত্তর সিকিমের এই ছোট্ট শহরে, যার ফলে পর্যটকরা একেবারে উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে শীতকালে যখন কলকাতা ও দেশের বিভিন্ন শহর থেকে হাজার হাজার পর্যটক সিকিমে তুষারপাত (Snowfall) দেখতে আসেন, তখন তাদের জন্য এটি ছিল এক আনন্দের খবর।
লাচেন, যা মূলত একটি ছোট পাহাড়ি শহর, সেখানে তুষারপাত (Snowfall)নতুন কিছু নয়। তবে শীতকাল আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই শহরে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়, কারণ তুষারপাত দেখতে তারা আকর্ষিত হন। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া তুষারপাত(Snowfall) ধীরে ধীরে শহরের রাস্তাঘাট ও গাছপালায় একটি সাদা বরফের চাদর বিছিয়ে দিয়েছে। গাছের ডালপালা, রাস্তাঘাট, এবং বাড়িঘর সবকিছুই বরফে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। চারদিক সাদা হয়ে উঠেছে, যেন প্রকৃতি নিজের এক নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
এমন দৃশ্য দেখে পর্যটকদের মধ্যে আনন্দের সীমা নেই। অনেকেই গাড়ি থামিয়ে বরফ দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন, কেউবা ছবি তুলছেন, আবার কেউ ভিডিও করছেন। অনেক পর্যটক তো ভিডিও কলে বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদেরও বরফের দৃশ্য দেখাচ্ছেন। তুষারপাতের (Snowfall) সৌন্দর্য উপভোগ করতে এমন দৃশ্য সবার নজর কেড়েছে।
তবে, তুষারপাতের (Snowfall) কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রবল তুষারপাতের কারণে নাথুলা ও ১৫ মাইলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু স্থানেও কালো বরফ জমে গেছে, যা সড়ক চলাচলের জন্য বিপদসঙ্কুল হয়ে উঠেছে। সড়ক মেরামতের জন্য কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা গেছে। ফলে, সড়কপথে চলাচল করতে আসা পর্যটকদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তবে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য তাদের মনের দুঃখ মেটাচ্ছে।
এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই সিকিমে ব্যাপক তুষারপাতের (Snowfall) পূর্বাভাস দিয়েছিল, যা এখন সত্যি হয়েছে। এই তুষারপাতের প্রভাব কেবল সিকিমেই সীমাবদ্ধ নয়, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাতেও এর প্রভাব পড়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার কুয়াশার দাপট অনেকটাই কমবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। তবে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া তুষারপাত ও বরফবৃষ্টি উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, এবং আলিপুরদুয়ার – এই চারটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া, পাহাড়ি অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমে গেছে, ফলে সাধারণ মানুষের কাছে তুষারপাত দেখতে আসার একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যটকরা সিকিমের তুষারপাত উপভোগ করতে এখানে ছুটে আসছেন। তবে, শীতের এই সময়ে তাপমাত্রা তীব্রভাবে কমে যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য পর্যটকরা দীর্ঘ সময় ধরে এখানে অবস্থান করছেন। সিকিমের এমন তুষারপাত থেকে অবশ্যই বেশ কিছু সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ফিরবেন তারা। তুষারের এই মনোরম দৃশ্য পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবেশকে আরও সৌন্দর্যময় করে তুলেছে, যা পর্যটকদের মনে দীর্ঘদিন অমলিনভাবে রয়ে যাবে।