মোদী জমানায় প্রথমবার বড় বিস্ফোরণে কাঁপল দেশ

first-major-blast-under-modi-government

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় দফা রাজত্বে এই প্রথম দেশে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটল। এর আগে দেশে জঙ্গি হামলা হলেও আজকের দিল্লি বিস্ফোরণের মত বিস্ফোরণ এর আগে মোদী জমানায় হয়নি।রাজনৈতিক মহলের মতে সরকারের নিরাপত্তা দাবির উপর প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে এই বিস্ফোরণ।ঘটনার সময় ছিল ঠিক ৬:৫২ মিনিট। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে রেড লাইটে থামা গাড়ি হঠাৎই উড়ে যায়।

Advertisements

দিল্লি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, গাড়ির ভিতরে ২-৩ জন যাত্রী ছিল, আর বিস্ফোরণ এত শক্তিশালী ছিল যে, ৫০ মিটারের মধ্যে থাকা সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশেপাশের দোকানের কাঁচ ভেঙে পড়ে, রাস্তায় ছড়িয়ে থাকে ধাতব টুকরো আর পোড়া গাড়ির অংশ। এক প্রত্যক্ষদর্শী রাহুল শর্মা বললেন, “আমি মেট্রো থেকে বেরোচ্ছিলাম, হঠাৎ বিকট শব্দ যেন বোমা ফেটেছে। ধোঁয়ায় কিছু দেখা যাচ্ছে না, লোকেরা ছুটোছুটি করছে।”

   

দিল্লির বিস্ফোরণে ভারত-দক্ষিণ আফ্ৰিকা ম্যাচে বজ্র আঁটুনি

দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ৯টা ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভায়, কিন্তু ততক্ষণে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। এলাকাটা কার্ডন করে দেওয়া হয়েছে, এনএসজি কমান্ডো, এনআইএ টিম, ফরেনসিক এক্সপার্টরা সাইটে নেমেছে। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, এটা কার বম্ব—সম্ভবত IED ।

Advertisements

এই বিস্ফোরণ মোদী জমানার নিরাপত্তা রেকর্ডে একটা কালো দাগ। ২০১৪ সাল থেকে মোদী সরকার জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রধান অগ্রাধিকার বলে দাবি করে আসছে। পুলওয়ামা হামলা (২০১৯), উরি অ্যাটাক (২০১৬) এবং চলতি বছরের পহেলগাঁও হামলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায়।

রাজধানীর মতো কেন্দ্রস্থলে এমন প্রকাশ্য বিস্ফোরণ মোদী জমানায় এই প্রথম। গতকাল ফরিদাবাদে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের পরও এমন ঘটনা ঘটল, যা গোয়েন্দা ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়। একজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার সঙ্গে আইএসআইএস-কে বা পাক-সমর্থিত গ্রুপের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। পিএমওএ-তে গোয়েন্দা প্রধান অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত। মোদী বলেছেন, “এটা জাতির উপর হামলা, দোষীদের ছাড়া হবে না।” শাহ মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। এই বৈঠকে নিরাপত্তা গ্রিড মজবুত করা, সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানো, গোয়েন্দা শেয়ারিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে।