নয়াদিল্লি: দোরগোড়ায় উৎসবের মরশুম। আলর রোশনাই-এ সেজে উঠবে শহর। দুর্গাপুজো, কালিপুজো-দীপাবলি, ছট উৎসবের আলোয় গা ভাসাবে দেশবাসী। তবে উৎসবের আনন্দে মেতে পরিবেশের কথা ভুলে গেলে চলবে না মোটেই! দীপাবলিতে শব্দবাজির বিকট আওয়াজ, আতসবাজির ধোঁয়ায় পরিবেশের পাশাপাশি অসুবিধা হয় পথ কুকুর, বিড়ালদের।
তাই উৎসবের কদিনের আনন্দ যেন ভবিষ্যতের নিরানন্দে পরিণত না হয়, সেই জন্য বারংবার বাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ প্রেমীরা। এদিকে সবুজ বাজির নাম করেও বাজারে দেদার বিকোয় পরিবেশ দূষণকারী আতস বাজি (firecracker)। এবার পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে বাজি বন্ধে (firecracker) বড় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
দীপাবলির পর রাজধানীর আকাশ ধোঁয়াশায় ঢেকে যাওয়ায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন সেখানকার মানুষ। তবে এই সমস্যা শুধুমাত্র দিল্লির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এবং বাজি বন্ধ করতে হলে সমগ্র দেশেই তা করা উচিৎ বললেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে বাজি বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং উৎপাদন নিষিদ্ধ করা নিয়ে আবেদনের শুনানিতে এই কথা বলে সর্বোচ্চ আদালত।
এই নিরিখে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা সিএকিউএমকে নোটিশ জারি করে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার আদালতের তরফে বলা হয়, কেবলমাত্র দিল্লির মানুষ কেন, দেশের সব শহরের মানুষের বিশুদ্ধ বাতাসের অধিকার রয়েছে। তাই বাজি বন্ধ (firecracker)হলে তা দেশজুড়েই কার্যকর হবে। “দিল্লির মানুষজন দেশের অভিজাতদের মধ্যে পড়ে বলেই আমরা বাজি বন্ধের পলিসি কেবলমাত্র রাজধানীর মধ্যেই সীমিত রাখতে পাড়ি না” বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি গাভাই।