উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাবুগড় (Babugarh) এলাকায় একটি রিফাইন্ড তেল গুদামে (Oil Warehouse) শনিবার ভয়াবহ আগুন (Fire) লাগে। তেল এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ফলে আশপাশের এলাকাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত উদ্ধারকর্মীদের এবং দমকল বাহিনীকে (Firefighters) ঘটনাস্থলে পাঠায়।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ছয়টি ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আগুনের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে, দমকল বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, পুরো আগুন নেভাতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, শুরুতে আগুন নেভানোর কাজে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল হয়েছে।
দমকল বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, তাদের দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে, তবে তারা আশা করছেন খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে। আপাতত ৫০ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।” আগুনের কারণে গুদামের ভেতরের তেল এবং অন্যান্য দ্রব্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, আগুনের কারণে কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও দমকল বাহিনী এবং প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম। প্রশাসন এলাকাটির আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে এবং উদ্ধারকাজের জন্য আরও ফায়ার টেন্ডার পাঠানো হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্ত: তেল গুদামের অভ্যন্তরে ত্রুটি?
আগুনের কারণ এখনও নিশ্চিত না হওয়া গেলেও, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে গুদামের ভিতরে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। যেহেতু গুদামে রিফাইন্ড তেল এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থ মজুদ ছিল, তাই আগুনের ছড়িয়ে পড়া খুব দ্রুত হয় এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে। স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে তেল গুদামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে, ফায়ার ব্রিগেড এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে দেওয়া না হওয়া পর্যন্ত পুরো এলাকা খালি রাখা হবে।
কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নিঃ
সুখবর হল, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। দমকল বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন আগুনের কারণ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এটি নিশ্চিত করার জন্য একটি আলাদা দলও ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, যারা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে।
এখন পর্যন্ত, গুদামে আগুনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন যে তারা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার পর ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যাবে।