প্রয়াগরাজ: ফের মহাকুম্ভে বিপর্যয়৷ আবারও আগুন লাগল প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলার সেক্টর ১৮ এলাকায়৷ ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন৷ চলছে আগুন নেভানোর কাজ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন তুলসী চৌরাস্তার কাছাকাছি পুরাতন GT রোডের একটি ক্যাম্পে আগুন লাগে। দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করায় তা তা বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। খাক চৌক পুলিশ স্টেশনের ইনস্পেক্টর যোগেশ চতুর্বেদী পিটিআই-কে বলেন, ‘‘তুলসী চৌরাস্তা সংলগ্ন ক্যাম্পে আগুন লেগেছে৷ আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।’’
যদিও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। স্থানীয় প্রশাসন ও দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই মহাকুম্ভে ৩৯.৭ কোটির বেশি পুণ্যার্থী গঙ্গা, যমুনা ও অন্তঃসলীলা সরস্বতী নদীর ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরেছেন। গত বুধবার কুম্ভস্নান সেরেছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
এই নিয়ে তিনবার আগুন লাগল কুম্ভ মেলায়৷ সপ্তাহ খানেক আগেই প্রয়াগরাজের চাটনাগ ঘাট এলাকায় ১৫টি তাঁবু আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায়। তবে, ওই ঘটনাতেও হতাহতের খবর মেলেনি৷ দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা৷ জানা গিয়েছে, ওই তাঁবুগুলি অনুমোদিত ছিল না। গত জানুয়ারিতে ১৯ নম্বর সেক্টরে আগুন লেগেছিল। সেই আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে থাকা তাঁবুগুলিতে। প্রায় ৫০টি তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে সেই ঘটনাতেও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা।
গত ২৯ জানুয়ারি মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃত্যু হয় ৩০ জনের৷ এই ঘটনার পরই উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তদন্তের নির্দেশ দেন৷ একটি বিচারিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে, যা এই ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে।
মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি৷ শেষ হবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি৷ বাকি স্নানের তারিখগুলি হল ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা) এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি (মহাশিবরাত্রি)।