খাবার জলে গাড়ি ধুলে এবার থেকে হবে জরিমানা, নির্দেশিকা কর্পোরেশনের

New Guidelines: Fines Imposed for Washing Cars in Water Bodies, Says Corporation আপনি যদি চণ্ডীগড়ে হোসপাইপ দিয়ে গাড়ি ধুয়ে থাকেন বা আপনার জলের ট্যাঙ্ক উপচে…

corporation announcement

New Guidelines: Fines Imposed for Washing Cars in Water Bodies, Says Corporation
আপনি যদি চণ্ডীগড়ে হোসপাইপ দিয়ে গাড়ি ধুয়ে থাকেন বা আপনার জলের ট্যাঙ্ক উপচে পড়তে দিয়ে থাকেন, তবে এটি আপনার জন্য শুধু জলের অপচয় নয়, বরং বড় খরচের কারণ হতে পারে। চণ্ডীগড় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (corporation) জল অপচয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে এবং একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জল অপচয় করলে ৫,৭৮৮ টাকা জরিমানা করা হবে এবং বারবার লঙ্ঘনকারীদের জল সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে, কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই।

   

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাসিন্দাদের অতিরিক্ত লনের জল দেওয়া এবং ওভারহেড বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাঙ্ক থেকে জল উপচে পড়তে দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও, জলের মিটার চেম্বার, ডেজার্ট কুলার এবং সঠিক প্লাম্বিংয়ের অভাবে ফুটো হওয়ার মতো সমস্যাগুলিও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এই বিধিনিষেধগুলি ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

জল অপচয় হিসেবে চিহ্নিত কার্যকলাপ

গাড়ি এবং উঠোন ধোয়া।

লনে জল দেওয়া।

অন্য কোনো কারণে জলের অপচয় বা অপব্যবহার।

ওভারহেড বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাঙ্ক থেকে জল উপচে পড়া।

জলের মিটার চেম্বার থেকে ফুটো হওয়া।

ডেজার্ট কুলার থেকে ফুটো বা উপচে পড়া।

বিব ট্যাপ না থাকার কারণে জলের অপচয়।

জল সরবরাহ লাইনে সরাসরি বুস্টার পাম্পের ব্যবহার।

ধরা পড়লে কী হবে?

৫,৭৮৮ টাকা জরিমানা, যা সরাসরি জলের বিলে যোগ করা হবে (corporation)। জল অপচয়ে ব্যবহৃত হোসপাইপ, বুস্টার পাম্প বা অন্য কোনো সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হবে। বারবার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, কোনো অতিরিক্ত নোটিশ ছাড়াই জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।

গ্রীষ্মকালে জলের চাহিদা বৃদ্ধি এবং তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমসি সংরক্ষণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত বছর, ২০২৪ সালে, অনুরূপ লঙ্ঘনের জন্য ৫,৫১২ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, যা এই বছর ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আপনি কী করতে পারেন?

জল সংরক্ষণে সাহায্য করতে এবং জরিমানা এড়াতে বাসিন্দাদের পদক্ষেপ
বাড়ির চারপাশে ফুটো ঠিক করুন।

সঠিক ট্যাপ এবং ভালভ স্থাপন করুন।

Advertisements

পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রবাহিত জল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

বুস্টার পাম্প স্থাপন করবেন না—এটি অবৈধ এবং অন্যদের জল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায়।

মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (corporation) বক্তব্য

গত বছর, ২০২৪ সালে, মিউনিসিপাল কমিশনার (corporation) বলেছিলেন, “গ্রীষ্মকালে পানীয় জলের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে, এমসি ৭ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সকালের জল সরবরাহের সময় লনের জল দেওয়া, উঠোন ও গাড়ি ধোয়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জলের অপচয় এবং অপব্যবহার জল সরবরাহ বিধিমালার অধীনে অবৈধ, যা জরিমানা এবং সংযোগ বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যাবে।” এই বছরও একই কঠোরতা বজায় রাখা হয়েছে।

জল সংকটের প্রেক্ষাপট

চণ্ডীগড়ে গ্রীষ্মকালে জলের চাহিদা তীব্রভাবে বেড়ে যায়, এবং ভূগর্ভস্থ জলের স্তরও হ্রাস পায়। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জল সরবরাহের উপর চাপ আরও বেড়েছে। এমসি জানিয়েছে যে প্রতিদিন প্রায় ৩৮ শতাংশ জল অপচয় হয়, যা প্রাকৃতিক সম্পদের একটি বড় ক্ষতি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এমসি প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই বিশেষ অভিযান চালায়।

সপ্তাহের মাঝেই ডবল হেডার, KKR বনাম LSG ম্যাচ ফ্রিতে কোথায় দেখবেন জেনে নিন

বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া

এই নিয়মে অনেক বাসিন্দা সমর্থন জানালেও কেউ কেউ এর কঠোরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন বাসিন্দা বলেন, “জল সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এত বড় জরিমানা সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে।” আরেকজন বলেন, “আমরা সবাই চাই জল বাঁচাতে, কিন্তু এমসি-র নিজস্ব পাইপলাইনে ফুটোও ঠিক করা উচিত।”

কীভাবে চলছে অভিযান?

এমসি ১৮টি দল গঠন করেছে, যারা সকাল ৫:৩০ থেকে ৯:০০ পর্যন্ত এবং সন্ধ্যায় পরিদর্শন করে। এই দলগুলি সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারদের নেতৃত্বে কাজ করে এবং লঙ্ঘনকারীদের স্পটে চালান দেয়। গত বছর এই অভিযানে শতাধিক নোটিশ জারি করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এই বছরও একই কঠোরতা বজায় রাখা হচ্ছে।

পরামর্শ ও সতর্কতা

বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে তারা গাড়ি ধোয়ার জন্য বালতি এবং গাছপালায় জল দেওয়ার জন্য ক্যান ব্যবহার করুন। হোসপাইপ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমসি জানিয়েছে, “আমরা সবাইকে সহযোগিতা করতে এবং মূল্যবান জল সংরক্ষণে সাহায্য করতে অনুরোধ করছি।” যদি কোনো ফুটো ধরা পড়ে, তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা ঠিক করতে হবে, নইলে জরিমানা অবধারিত।

চণ্ডীগড়ে জল সংরক্ষণ এখন একটি জরুরি প্রয়োজন। এমসি-র এই কঠোর পদক্ষেপ জনসচেতনতা বাড়াতে এবং অপচয় কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের এখন সতর্ক থাকতে হবে, কারণ একটি ছোট ভুলও বড় খরচের কারণ হতে পারে। গ্রীষ্মের এই সময়ে জলের প্রতিটি ফোঁটা বাঁচানোই এখন লক্ষ্য।