উত্তরপ্রদেশের বান্দার ৩৩ বছর বয়সী শাহজাদি খানের ফাঁসি ১৫ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (ASG) চেতন শর্মা ও অ্যাডভোকেট আশিস দীক্ষিত দিল্লি হাইকোর্টে জানান, ইউএই-তে ভারতীয় দূতাবাস ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউএই সরকারের কাছ থেকে চিঠি পায়। তাতে বলা হয়, শাহজাদির মৃত্যুদণ্ড UAE আইন অনুযায়ী ১৫ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হয়েছে। তাঁর বাবা শাব্বির খানকে সেদিনই জানানো হয় এবং বলা হয়, পরিবার ৫ মার্চের মধ্যে শেষকৃত্যে অংশ নিতে UAE যেতে পারবে। এএসজি (Additional Solicitor General) জানান, পরিবারকে সব সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
শাহজাদি আবুধাবির আল ওয়াথবা জেলে বন্দি ছিলেন। এক শিশুর মৃত্যুর জন্য তাঁকে দায়ী করে UAE আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়। শাব্বির খান মেয়ের জন্য বিদেশ মন্ত্রণালয়ের (MEA) হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ফাঁসি হয়ে যাওয়ায় আদালত আবেদন খারিজ করে।
আবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শাহজাদি কাজের জন্য UAE যান। ২০২২ সালের আগস্টে তাঁর নিয়োগকর্তার ঘরে একটি ছেলে জন্মায়, যাঁর দেখাশোনা করতেন তিনি। ৭ ডিসেম্বর শিশুটি টিকা নেওয়ার পর মারা যায়। হাসপাতাল পোস্টমর্টেমের পরামর্শ দিলেও শিশুর বাবা-মা তা প্রত্যাখ্যান করেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক ভিডিওতে শাহজাদি শিশুহত্যা ‘স্বীকার’ করেন, যা নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয় বলে তিনি দাবি করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয় এবং ৩১ জুলাই মৃত্যুদণ্ড পান।
ভারতীয় দূতাবাস আইনি সহায়তা দিলেও তাঁকে স্বীকারোক্তির জন্য চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আপিল খারিজ হয় এবং ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। শাব্বির ক্ষমার জন্য আবেদন করেন, কিন্তু সঠিক জবাব পাননি। ২০২৪ সালের মে মাসে নতুন আবেদন জমা দেন। ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শাহজাদি ফোন করে ফাঁসির আশঙ্কা জানান। ২০ ফেব্রুয়ারি শাব্বির MEA -তে আবেদন করেন, কিন্তু কোনও সাড়া পাননি।