কৃষকদের জয়জয়কার, উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির পথ দেখালেন মোদী!

গুজরাট (Gujarat) সরকার মঙ্গলবার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মাটি স্বাস্থ্য কার্ড (SHC) যোজনা,…

farmers-victory-production-income-growth-modi

গুজরাট (Gujarat) সরকার মঙ্গলবার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মাটি স্বাস্থ্য কার্ড (SHC) যোজনা, যার আওতায় ২.১৫ কোটি কৃষক উপকৃত হয়েছেন।

মাটি স্বাস্থ্য কার্ড যোজনার সূচনা ২০০৩-০৪ সালে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) করেছিলেন। সে সময় গুজরাট দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে কৃষকদের জন্য মাটির স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। মাটি স্বাস্থ্য কার্ডে ১২টি মূল উপাদানের (N, P, K, pH, EC, Fe, Cu, Zn, OC, S, B, Mn) পুষ্টির উপাদানের মাত্রা উল্লেখ থাকে এবং কৃষকদের জন্য বিজ্ঞান-ভিত্তিক সারের পরিমাণের সুপারিশ প্রদান করা হয়। এর ফলে কৃষকরা সঠিকভাবে সার ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারেন।

   

প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে (২০০৩-০৪ থেকে ২০১০-১১) ৪৩.০৩ লক্ষ কৃষক মাটি স্বাস্থ্য কার্ড পেয়েছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে (২০১১-১২ থেকে ২০১৫-১৬) আরও ৪৬.৯২ লক্ষ কৃষক এই সুবিধার আওতায় আসেন। বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে (২০১৬-১৭ থেকে এখন পর্যন্ত) ১.২৫ কোটিরও বেশি কৃষক এই কার্ড পেয়েছেন।

২০২৩-২৪ সালে গুজরাটে ১,৭৮,৬৩৪টি মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ১,৭৮,২৮৬টি নমুনা সফলভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ খরিফ মরশুমের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গুজরাটে ৩,৮১,০০০ মাটির নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এই লক্ষ্য অতিক্রম করে ৩,৮২,২১৫টি নমুনা সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও, রবি-২০২৫ মৌসুমের জন্য ২,৩৫,৪২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩,৬৫৭টি নমুনা বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে।

বর্তমানে, গুজরাট কৃষি বিভাগের অধীনে ১৯টি মাটি পরীক্ষা ল্যাব এবং একটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পরীক্ষা ল্যাব পরিচালিত হচ্ছে, যার বার্ষিক ক্ষমতা ১০,০০০ থেকে ১১,০০০ নমুনা। এছাড়া, গ্রামীণ এলাকায় ২৭টি বেসরকারি মাটি পরীক্ষা ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

মাটি স্বাস্থ্য কার্ডের সুবিধা নিয়ে অনেক কৃষক তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। আরাবল্লি জেলার কৃষক বাবু ভাই ভাসরামভাই প্যাটেল জানান, মাটি স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে তারা সারের ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেয়েছেন, যা তাদের সার খরচ কমাতে এবং ফসলের ফলন বাড়াতে সাহায্য করেছে।

গুজরাটের এই সাফল্যকে অনুসরণ করে ২০১৫-১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মাটি স্বাস্থ্য কার্ড যোজনা সারাদেশে চালু করেন। এই প্রকল্প কৃষকদের মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলছে এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।