সিঙ্ঘু সীমান্তে চরম অস্থিরতা, কৃষক আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ ইন্টারনেট

হরিয়ানা (Haryana) সরকার ১২টি গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে, যা আম্বালা জেলার অন্তর্গত। এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে কারণ ‘দিল্লি চলো’ (Delhi Chalo) আন্দোলন আবার…

Farmers’ protest in Ambala Internet suspended across twelve villages in Hariyana

হরিয়ানা (Haryana) সরকার ১২টি গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে, যা আম্বালা জেলার অন্তর্গত। এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে কারণ ‘দিল্লি চলো’ (Delhi Chalo) আন্দোলন আবার শুরু হতে যাচ্ছে শনিবার থেকে। প্রতিবাদী কৃষকরা (Farmer’s protest) শম্ভু সীমান্ত থেকে জাতীয় রাজধানী দিল্লির দিকে মার্চ করার চেষ্টা করবেন। কৃষকদের এই প্রতিবাদ আন্দোলন আবার মাথাচাড়া দেওয়ার কারণে হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই ১২টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে দাঙ্গদেহরি, লোকগড়, মানকপুর, দাদিয়ানা, বড়ি ঘেল, ছোটি ঘেল, লহারসা, কালু মজরা, দেবী নগর (হিরা নগর, নরেশ বিহার), সাদ্দোপুর, সুলতানপুর এবং কাকরু। এই সব গ্রামে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ১৭ই ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে, ব্যাংকিং পরিষেবা এবং মোবাইল রিচার্জ সেবা চলতে থাকবে, বলেছে সরকারি কর্মকর্তারা।

   

এটি একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, কারণ কৃষকরা আবার দিল্লির দিকে মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা আগে অনেক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আগেও হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল যাতে কোনো ধরনের অস্থিরতা বা সহিংসতা না হয় এবং প্রশাসন তাদের কন্ট্রোল রাখে।

প্রতিবাদী কৃষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে তাদের আপত্তি এবং কৃষকদের স্বার্থে উন্নত আইন প্রণয়নের দাবি। তারা দীর্ঘ সময় ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে আসছে, এবং তাদের পরিকল্পনা হল দিল্লির দিকে আবার মিছিল করে সরকারের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরা। গত বছরও একই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে হাজার হাজার কৃষক সীমান্তে জমা হয়েছিলেন এবং দিল্লির প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

এই নতুন আন্দোলন প্রেক্ষাপটে, হরিয়ানা সরকারও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা আন্দোলনের সময় কোনো ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা বন্ধ করতে চাইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি বর্তমানে বিক্ষোভের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে, এবং তা রাজনৈতিক আন্দোলনগুলির উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যখন মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখে।

এছাড়াও, সরকার ব্যাংকিং এবং মোবাইল রিচার্জ পরিষেবাগুলির উপর কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ তা জনগণের দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণ করেন, যেমন অনলাইন শপিং, শিক্ষা এবং যোগাযোগ।

সরকারের এই পদক্ষেপে সাধারণ মানুষও উদ্বিগ্ন। যদিও এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে, তবে এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। আশা করা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে, তবে কর্তৃপক্ষ তাদের পদক্ষেপ মনিটর করবে যাতে কোনো অশান্তি না ঘটে।