Boeing, Honeywell-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল বিমানদুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার

নয়াদিল্লি: ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ (Air India 171)-এর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২৬০ জন। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাকবক্সের তথ্য নিয়ে ধোঁয়াশা…

নয়াদিল্লি: ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ (Air India 171)-এর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২৬০ জন। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাকবক্সের তথ্য নিয়ে ধোঁয়াশা এবং তুমুল বিতর্কের ঝড় ওঠে। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল, বিমানের জ্বালানি প্রদানকারী সুইচটি। এবার ওই দুর্ঘটনায় মৃত ৪ জনের পরিবারের তরফে বোয়িং (Boeing) এবং হানিওয়েলের (Honeywell) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আমেরিকার ডেলাওয়্যার সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা এক অভিযোগে বলা হয়েছে, বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের সুইচের লকিং মেকানিজম অসাবধানতাবশত বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা অনুপস্থিত থাকতে পারে, যার ফলে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে থ্রাস্ট না পাওয়ায় বিমানটি ক্র্যাশ করে। সুইচে যে গন্ডগোল ছিল বোয়িং এবং হানিওয়েল উভয়ই তা জানত। বিশেষ করে ২০১৮ সালে আমেরিকার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সতর্কতার পর। তা সত্ত্বেও এতবড় ঝুঁকির বিষয়ে বোয়িং কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার এতগুলি মানুষ সেদিন প্রাণ হারালেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

   

অন্যদিকে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভার্জিনিয়ার আরলিংটন-স্থিত সংস্থা বোয়িং মন্তব্য করতে চায়নি। পাশাপাশি, নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটে অবস্থিত হানিওয়েল তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। প্রসঙ্গত, ১২ জুন আমেদাবাদে হওয়া ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় এই প্রথগম আমেরিকায় কোনও মামলা রুজু করা হল। ২২৯ জন যাত্রীর মধ্যে কান্তাবেন ধীরুভাই পাঘাদল, নব্য চিরাগ পাঘাদাল, কুবেরভাই প্যাটেল এবং বাবিবেন প্যাটেলের মৃত্যুর জন্য অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি রুজু করেছে তাঁদের পরিবার।

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনা

Advertisements

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে দুপুর দেড়টা নাগাদ ২২৯ জন যাত্রী সহ ১২ জন ক্রু সদস্য নিয়ে যাত্রা করে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট। এয়ার ইন্ডিয়ার ১৭১ বিমানটি উড়ানের ২ মিনিটের মধ্যেই ঘনবসতিপূর্ণ মেঘানিনগরের মেডিক্যাল কলেজের ছাদে ভেঙে পড়ে। আগুনে জীবন্ত ঝলসে মারা যান ২২৮ জন যাত্রী সহ ১২ জন ক্রু সদস্য। ভাগ্যক্রমে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচেন একজন।

এরপর বিমানের ব্ল্যাকবক্সের তথ্য প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হলে বিমানদুর্ঘটনা নিয়ে আরও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। ককপিট রেকর্ডার থেকে কেবলমাত্র “জ্বালানি বন্ধ করলে কেন?” এবং “আমি করিনি” দুই পাইলটের মধ্যে এইটুকু কথোপকথন প্রকাশ করা হয়। একদিনে পাইলটের ভুল এবং অন্যদিকে বোয়িং সংস্থার ত্রুটিপূর্ণ বিমান নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।