মাদ্রাসায় জালনোট ছাপিয়ে গ্রেফতার মৌলানা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই চলছিল জাল নোটের কারবার (Fake Currency Racket)। নোট ছাপিয়ে তা বাজারে ছড়িয়েও দেওয়া হচ্ছিল। মাদ্রাসায় চলতে থাকা জালনোটের বড়সড় চক্র ফাঁস করল পুলিশ।…

short-samachar

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই চলছিল জাল নোটের কারবার (Fake Currency Racket)। নোট ছাপিয়ে তা বাজারে ছড়িয়েও দেওয়া হচ্ছিল। মাদ্রাসায় চলতে থাকা জালনোটের বড়সড় চক্র ফাঁস করল পুলিশ। জালনোট ছাপানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে।

   

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের। এখানকার আতারসুইয়া এলাকার মাদ্রাসায় চলছিল জালনোটের কারবার। সেটাও প্রায় তিন মাস ধরে। মাদ্রাসা থেকে বিপুল পরমাণ জালনোট এবং কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মৌলানা মহম্মদ তাফসেরুলকে। পাশাপাশি, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনকে পাকরাও করেছে প্রয়াগরাজ পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশের এই জালনোট চক্রের সঙ্গে ওড়িশার যোগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদার দাবি, এই চক্রের মাথা জাহিদ খান। ওড়িশার বাসিন্দা প্রয়াগরাজের মাদ্রাসায় ঘর ভাড়া নেয়। সেখানেই একঠি ঘরে জালনোট ছাপানোর কাজ শুরু করে। এই কারবারে জাহিদের অংশীদার ছিল মৌলানা মহম্মদ তাফসেরুল। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। ধর্মের জ্ঞান। এলাকায় সুনাম। তাফসেরুলের এই বিষয়টিকে পুঁজি করেই মাদ্রাসায় জালনোটের কারবার শুরু করে জাহিদ।

প্রয়াগরাজ পুলিশ জানিয়েছে তাফসেরুল এবং জাহিদ ছাড়াও এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত ছিল। কারণ, শুধু নোট ছাপালেই তো হবে না। সেগুলো বাজারে ছড়াতে হবে। এই কাজের দায়িত্বে ছিল- মহম্মদ আফজল এবং মহম্মদ শাহিদ। প্রয়াগরাজের কারেলির বাসিন্দা এই দুই জনের কাজ ছিল বাজারে জালনোট ছড়িয়ে দেওয়া। ১৫ টাকা দিলে ৪৫ হাজার টাকার জালনোট পাওয়া যেত বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের দাবি, বাজারে কয়েক লক্ষ টাকার জালনোট ছড়িয়েছে এই চক্রটি।