শনিবার গভীর রাতে কেরালার (kerala) তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ব্রিটিশ এফ-৩৫বি লাইটনিং II যুদ্ধবিমান জরুরি অবতরণ করেছে। ভারত মহাসাগরে একটি সামরিক অভিযানের সময় জ্বালানি কমে যাওয়ায় এই পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমানটি বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এফ-৩৫ বিমানের এই জরুরি অবতরণ একটি সাধারণ ঘটনা। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত ছিল এবং উড়ান নিরাপত্তার জন্য বিমানটিকে সহায়তা করেছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, এবং আইএএফ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছে।”
ঘটনার বিবরণ (kerala)
এই এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি যুক্তরাজ্যের এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের অংশ। এই ক্যারিয়ার গ্রুপ বর্তমানে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সম্প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে (kerala)। শনিবার রাতে বিমানটি ভারত মহাসাগরে একটি সামরিক অভিযানে ছিল।
জ্বালানি কমে যাওয়ায় এবং সম্ভবত প্রিন্স অফ ওয়েলস বিমানবাহী রণতরীতে অবতরণের জন্য প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমানটি তিরুবনন্তপুরমে জরুরি অবতরণ করে। রবিবার সকাল পর্যন্ত বিমানটি তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে পার্ক করা রয়েছে।
এফ-৩৫বি’র বৈশিষ্ট্য
এফ-৩৫বি লাইটনিং II হল একটি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমান, যা মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার লকহিড মার্টিন দ্বারা নির্মিত। এই বিমানটি তার শর্ট টেক-অফ অ্যান্ড ভার্টিকাল ল্যান্ডিং (এসটিওভিএল) ক্ষমতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, যা এটিকে ক্যাটাপল্ট সিস্টেম ছাড়াই বিমানবাহী রণতরী থেকে পরিচালনার উপযোগী করে।
এর স্টিলথ ক্ষমতা, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং তথ্য বিনিময়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টিরোল যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। এই বিমানটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল এবং ন্যাটোর আধুনিক বিমান কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
সামরিক বিমান চলাচল (kerala) বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের জরুরি অবতরণ অস্বাভাবিক হলেও এটি নজিরবিহীন নয়। বিশেষ করে দীর্ঘ সামরিক অভিযানের সময় জ্বালানি কমে যাওয়া বা আবহাওয়ার কারণে বিমানবাহী রণতরীতে অবতরণে অসুবিধা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলসের আশপাশে প্রতিকূল আবহাওয়া এই জরুরি অবতরণের একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। তবে, এই ঘটনার নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা লকহিড মার্টিন এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভূমিকা
ভারতীয় বিমানবাহিনী (kerala) এই ঘটনায় দ্রুত সাড়া দিয়ে বিমানটির নিরাপদ অবতরণ নিশ্চিত করেছে। আইএএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমানটির নিরাপত্তা এবং ক্রুদের সুবিধার জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনও এই প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করছে।
এই ঘটনা ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনী এবং যুক্তরাজ্যের এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের মধ্যে যৌথ মহড়া এই সহযোগিতার প্রতিফলন।
হিন্দুদের এক করার লক্ষ্যে শুভেন্দুর ২৭ জুনের বড় ঘোষণা
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
এই ঘটনা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির সময় ঘটেছে। এইচএমএস (kerala) প্রিন্স অফ ওয়েলস ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ এই অঞ্চলে মুক্ত ও উন্মুক্ত সমুদ্রপথ নিশ্চিত করার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভারতের সঙ্গে যৌথ মহড়া এই অঞ্চলে নৌ নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর একটি অংশ। এই ঘটনা এই অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রমের জটিলতা এবং ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
স্থানীয় প্রভাব
তিরুবনন্তপুরমে (kerala) এই জরুরি অবতরণ স্থানীয় জনগণের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। বিমানবন্দরের আশপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, এবং বিমানটি একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পার্ক করা রয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনও বাধা সৃষ্টি হয়নি, তবে এই ঘটনা স্থানীয় মিডিয়ার শিরোনামে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ কুমার বলেন, “একটি যুদ্ধবিমান আমাদের বিমানবন্দরে দেখা অস্বাভাবিক। আমরা আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।”
এই জরুরি অবতরণ (kerala) ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার একটি উদাহরণ হলেও, এটি আধুনিক যুদ্ধবিমান পরিচালনার ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জগুলোকে তুলে ধরেছে। এফ-৩৫বি’র মতো অত্যাধুনিক বিমানও প্রতিকূল আবহাওয়া বা জ্বালানি সংকটের মতো পরিস্থিতির কাছে দুর্বল হতে পারে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর দ্রুত সাড়া এবং সহযোগিতা এই ঘটনায় প্রশংসনীয়। আগামী দিনে এই বিমানটির পরবর্তী পদক্ষেপ এবং ঘটনার বিস্তারিত কারণ সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়।