অমৃতসর: শুক্রবার গভীর রাতে অমৃতসরের খণ্ডওয়ালা এলাকার একটি মন্দিরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে মন্দিরের জানালা ভেঙে পড়ে। মন্দিরের দেয়ালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটরসাইকেলে চেপে মন্দিরের সামনে দাঁড়ায়। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরই মন্দিরের ভিতরে বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়।
অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার গুরপ্রীত সিং ভুল্লার জানান, রাত ২টো নাগাদ থানায় ফোন করে মন্দিরের পুরোহিত এই বিস্ফোরণের খবর দেন। তড়িঘড়ি পুলিশ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে। কথা বলে স্থানীয়দের সঙ্গেও। কমিশনার ভুল্লারের সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর হাত থাকতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। ফরেনসিক দল কাজ করছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। আইএসআই আমাদের যুবকদের পাঞ্জাবে অশান্তি সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করছে। আমরা শীঘ্রই দোষীদের ধরব।”
এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শিরোমনি আকালি দল (এসএডি) বিস্ফোরণের ঘটনাকে অত্যন্ত “গম্ভীর ও সংবেদনশীল ঘটনা” বলে উল্লেখ করেছে, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তারা দাবি, ‘‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে ভেঙে পড়েছে, এটা তারই প্রমাণ।” বিজেপি নেতা রণবীত সিং বিট্টু পাঞ্জাব সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “এটি রাজ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়, সরকার বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।”
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান জানিয়েছেন, পাঞ্জাবে শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হলেও, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ভালো। তিনি বলেন, “হোলির সময় অন্যান্য রাজ্যে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল, কিন্তু পাঞ্জাবে এমন কিছু হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান নিয়মিত ভাবে ড্রোন পাঠাচ্ছে, তাই এই ধরনের কাজ হয়েই চলেছে।”
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের ধরার চেষ্টা চলছে৷ এই ঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছিল, সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ফরেনসিক দল তা পরীক্ষা করে দেখছে৷