Pak On Indian Nuclear Capabilities: ভারতীয় নৌবাহিনীর বাড়তে থাকা পারমাণবিক শক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানেও নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার দাবি উঠতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন কূটনীতিক ও ভারতে হাইকমিশনার আবদুল বাসিত পাকিস্তানের নৌবাহিনীর বহরে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। পাকিস্তানের কাছে বর্তমানে একটিও পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন নেই। ভারতীয় নৌবাহিনীর পারমাণবিক হামলার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে আবদুল বাসিত পাকিস্তানের পারমাণবিক সাবমেরিন থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বাসিত বলেন, ভারত সম্প্রতি পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে K-4 ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে, যা একটি বিশাল সাফল্য। এর ক্ষমতা 3500 কিলোমিটার। ভারতের কাছে বর্তমানে অরিহন্ত এবং আরিঘাট শ্রেণীর পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন রয়েছে। এক দিন আগে সোমবার, ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান ভারতের সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে তৈরি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন।
ভারতের সুবিধার কথা তুলে ধরেছেন পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞ
আবদুল বাসিত বলেন, ভারত প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর ব্যয় করছে এবং পাল্টা আক্রমণ সক্ষমতার দিকে এগোচ্ছে। পাকিস্তানের সাবমেরিন আছে, কিন্তু পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন নেই। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের কাছে প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যাতে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু সেকেন্ড স্ট্রাইক সক্ষমতার জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন হবে পরমাণু চালিত সাবমেরিন।
প্রাক্তন পাকিস্তানি কূটনীতিক আরও বলেন যে একটি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনের সুবিধা হল এটি উপরে না এসে তিন থেকে চার মাস সমুদ্রের নীচে থাকতে পারে। পাল্টা আক্রমণ করার ক্ষমতার জন্য এটি একটি মৌলিক প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘ধরুন ভারত আমাদের ওপর প্রথম হামলা করে এবং সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়। সুতরাং আমাদের দ্বিতীয় আঘাত করার ক্ষমতা থাকা উচিত।
পাকিস্তানের জন্য প্রয়োজন প্রকাশ করা হয়েছে
বাসিত বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের পারমাণবিক সাবমেরিনও পেতে হবে। ভারত যেভাবে তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াচ্ছে, পাকিস্তান তা থেকে দূরে থাকতে পারবে না। আমাদের নিজেদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমি আশা করি দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বাসিতের বিবৃতি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সংস্থায় একটি শক্তিশালী আখ্যান প্রতিফলিত করে যা ভারতের সামরিক আধুনিকীকরণকে বাড়তে থাকা হুমকি হিসাবে দেখে এবং পাল্টা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। যাইহোক, বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তানের স্বল্প থেকে মাঝারি মেয়াদে পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন সক্ষমতা অর্জনের সম্ভাব্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এর জন্য যথেষ্ট সম্পদ এবং দক্ষতার প্রয়োজন হবে।