গৃহবন্দি চম্পাই সোরেন, রাঁচিতে জোরদার নিরাপত্তা

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার পরিচালিত একটি হাসপাতালের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় আদিবাসী সংগঠনগুলির প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে তিনি গৃহবন্দি। পুলিশের উদ্ধৃতি…

Champai Soren

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার পরিচালিত একটি হাসপাতালের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় আদিবাসী সংগঠনগুলির প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে তিনি গৃহবন্দি।

পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে। চম্পাইয়ের পুত্র বাবুলাল সোরেন এবং তাঁর সমর্থকদেরও রাঁচির পথে আটকানো হয়।

   

রাঁচি সিটি ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ কে ভি রমন বলেছেন, “চম্পাই সোরেনকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, কারণ আদিবাসী সংগঠনগুলির প্রতিবাদ মুখরিত।” চম্পাই জানান, “ তিনি সমস্ত বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।”

রাঁচিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে রাঁচিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

এক সাংবাদিক সম্মেলনে চম্পাই সোরেন অভিযোগ করেন, “রাজ্যের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন সরকার আদিবাসীদের জমি দখল করছে। রাঁচির নাগরির জমি জোর করে অধিগ্রহণ করে ₹১০০০ কোটির আরআইএমএস-২ হাসপাতাল প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া তো দূরের কথা, জমি ছাড়ার কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি।”

Advertisements

তিনি বলেন, “আমি ২৪ আগস্টের ‘হাল জোতো, রোপা রোপো’ প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকার কৃষকদের তাদের জমি চাষ করতে বাধা দিচ্ছে, সেগুলোতে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সরকার এখনো পর্যন্ত জমির দলিলও দেখাতে প্রস্তুত নয়। আমি হাসপাতাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু রাঁচিতে অনেক পরিত্যক্ত বা অনাবাদি জমি আছে, যেখানে এই হাসপাতাল গড়ে তোলা যেত।”

চম্পাই সোরেন আরও বলেন, “আজ রাজ্যে আদিবাসীরা আক্রান্ত। যারা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়ছে, তাদের হত্যা করা হচ্ছে।” তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “সুর্য হাঁসদা যিনি একাধিকবার বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা দিচ্ছিলেন – তাঁকেও গ্রেফতার করে ‘এনকাউন্টারে’ হত্যা করা হয়েছে, শুধুমাত্র তিনি আদিবাসী ছিলেন বলে।”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা যারা এই ভূমির মালিক বলেই পরিচিত, আজ সেই আমরাই ৫ কেজি রেশন কার্ডের চালের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আমরা সেই চালের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকি। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি।”