Bharat Ratna: লক্ষ্য দলিত ভোট? মরোণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরি ঠাকুরকে

Karpoori Thakur

বিহার তথা দেশের হিন্দি বলয়ের অন্যতম নেতা ও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুরকে মরনোত্তর ভারতরত্ন উপাধি প্রধান।

Advertisements

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া হবে। প্রয়াত  সমাজতান্ত্রিক নেতার জন্মবার্ষিকীর একদিন আগে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এই ঘোষণা আসে।

কার্পুরী ঠাকুর কে ছিলেন? কর্পুরী ঠাকুর, সামাজিক ন্যায়বিচারের সমার্থক নাম এবং উত্তর ভারতে অনগ্রসর শ্রেণীর ও বিহারের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি নাই (নাপিত) সম্প্রদায়ের গোকুল ঠাকুর এবং রামদুলারী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। পরে কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক অংশে যোগ দেন। জনতা দল থেকে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

1970-এর দশকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কার্যকাল ছিল যুগান্তকারী, বিশেষত সমাজের বঞ্চিত অংশগুলির জন্য। হৃদয়ে একজন সমাজতান্ত্রিক, ঠাকুর তার ছাত্রাবস্থায় জাতীয়তাবাদী ধারণা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং পরে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশনে যোগদান করেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ সমাজবাদী নেতা রাম মনোহর লোহিয়ার চিন্তাধারায় প্রভাবিত ছিল, যা নিম্নবর্ণের ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়েছিল। 

Advertisements

কর্পুরি ঠাকুর বিহার তথা হিন্দি বলয়ে অত্যন্ত চর্চিত রাজনীতিবিদ। বিহারের প্রেক্ষিতে তাঁর নাম বারবার উঠে আসে। বিশ্লেষণে উঠে আসছে বিহার তথা হিন্দি বলয়ে নীতীশ কুমারের দলিত রাজনীতির প্রভাব কাটাতে মরিয়া বিজেপি। সেই লক্ষ্যে দলিত সমাজবাদী নেতা কর্পুরী ঠাকুর ঢুকলেন ভারতরত্ন তালিকায়।