গোটা দেশ আপনার পাশেই আছে, শাহরুখকে চিঠি দিয়ে জানালেন রাহুল

News Desk: মুম্বইয়ের প্রমোদতরীর মাদক মামলায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর বলিউডের একাধিক তারকা শাহরুখের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একইভাবে…

Rahul Gandhi

News Desk: মুম্বইয়ের প্রমোদতরীর মাদক মামলায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর বলিউডের একাধিক তারকা শাহরুখের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

একইভাবে শাহরুখের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীও। শাহরুখকে দেওয়া এক চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, গোটা দেশ আপনার পাশে আছে। আপনি ধৈর্য হারাবেন না। প্রকৃত সত্য একদিন সামনে আসবেই। তবে রাহুল ওই চিঠিটি লিখেছিলেন ১৪ অক্টোবর। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে এসেছে।

   

আরিয়ান খান মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। আরিয়ানের গ্রেফতারির পরই এনসিবি অফিসারের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। নবাব কখনও সমীরের বিরুদ্ধে জালিয়াতির, কখনও ভুয়ো শংসাপত্র পেশ, কখনওবা তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন। নবাবের ওই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে সমীর মুখ না খুললেও বৃহস্পতিবার নবাবকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন এনসিবি অফিসারের বোন ইয়াসমিন। এদিন ইয়াসমিন বলেছেন, মন্ত্রীর জামাইকে গ্রেফতার করেছিল তাঁর দাদা সমীর। জামাইয়ের গ্রেফতারের বদলা নিতেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করে চলেছেন মন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, আরিয়ান আর্থার রোড জেলে থাকার সময় ১৪ অক্টোবর শাহরুখকে ওই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন রাহুল। ওই চিঠিতে তিনি কিং খানকে ধৈর্য না হারানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে গোটা দেশ তাঁর পাশে আছে বলেও শাহরুখকে আশ্বস্ত করেছিলেন রাহুল। তবে এতদিন এই চিঠির বিষয়ে কিং খানের পরিবার কিছু জানায়নি। বৃহস্পতিবারই এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসে। একটি সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে রাহুল শাহরুখকে জানিয়েছেন আরিয়ানের গ্রেফতারের পিছনেও রয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অঙ্গুলিহেলন। কেন্দ্রের নির্দেশে কাজ করে চলেছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিজেপির ইশারাতেই আরিয়ানকে জড়ানো হয়েছে মাদক মামলায়।

অন্যদিকে সমীরের বোন ইয়াসমিন দাউদ ওয়াংখেড়ে এদিন নবাবের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। ইয়াসমিন বলেছেন, নবাব মানুষকে সম্মান দেওয়ার সৌজন্যটুকুও জানেন না। সে কারণেই তিনি আমাদের পরিবারিক বিষয়েও নাক গলাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমাদের ব্যক্তিগত ছবি কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই ব্যবহার করছেন, যা অনৈতিক। আসলে নবাব এসব করছেন তাঁর জামাইয়ের গ্রেফতারের বদলা হিসাবে। এক সময় মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সমীর নবাবের জামাইকে গ্রেফতার করেছিল। সে কারণেই নবাবের রাগ রয়েছে সমীরের উপর। তবে একটু শিক্ষা থাকলেই মন্ত্রী বুঝতেন, আইন আইনের পথেই চলে। একই সঙ্গে ইয়াসমিন নবাব মালিকের পরিবারের মহিলাদের অনুরোধ করেছেন, নারীদের কীভাবে সম্মান জানাতে হয় সে বিষয়টি আপনারা নবাবকে শেখান। কারণ মহিলাদের কিভাবে সম্মান করতে হয় উনি সেটা জানেন না।