কলকাতার আরজি করের পর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের (Hathras) একটি ঘটনায় বর্তমানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেই এলাকায়। রাজ্যের ডিএল পাবলিক স্কুলের এক পড়ুয়া খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই ঘটনা সামনে আসার পর তা শুনে রীতিমতো আঁতকে উঠছে মানুষ। ঠিক কী হয়েছে? জানা যাচ্ছে, সেই স্কুলের ক্লাস ২-এর পড়ুয়াকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সেই স্কুলেরই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্কুলের ডিরেক্টর সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্কুলের ডিরেক্টর দীনেশ বাঘেল এবং তাঁর বাবার পাশাপাশি তিনজন শিক্ষক লক্ষণ সিং, ভীরপাল সিং এবং রামপ্রকাশ সোলাঙ্কি এদের গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক তদন্ত করে জানতে পেরেছে দীনেশের বাবা কালা জাদু, তন্ত্র-মন্ত্রতে প্রচন্ড বিশ্বাসী।
তাই তিনি ছেলেকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন স্কুলের খ্যাতি যদি বাড়াতে হয় তাহলে ওই স্কুলের এক ছাত্রের বলিদান দিতে হবে। এরপর নিজের বাবার কথা শুনে স্কুলের ডিরেক্টর সহ ৫ জন ওই ক্লাস ২-এর ছাত্রকে খুন করেন। জানা যাচ্ছে, ওই স্কুলে অন্তত ৬০০ জন পড়ুয়া রয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে।
আর এই নিহত ছাত্রের দেহও নিথর অবস্থায় ওখানকার হস্টেলের একটি ঘরে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্কুলের এক কর্মী। এরপর বিষয়টি সামনে এলে দীনেশ বাঘেল পুরো বিষয়টি লোকানোর চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিহত পড়ুয়াকে অসুস্থ দাবি করে গাড়ি করে নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর আলিগড় থেকে আগ্রা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে করেই এদিক ওদিক ঘুরতে থাকেন।
ওদিকে পড়ুয়ার বাড়িতেও ফোন করে জানানো হয় যে সে অসুস্থ। তৎক্ষনাৎ পড়ুয়ার বাবা-মা স্কুলে এসে ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ দীনেশের গাড়ি ট্র্যাক করে নিহত পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করেন। দেহ উদ্ধারের পর পড়ুয়ার ঘাড়ে, গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এই ঘটনার নেপথ্যে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালা জাদুর কুসংস্কার রয়েছে বলে ধারণা করেছে সেখানকার পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁরা এও জানতে পেরেছে পুলিশ জানতে পেরেছে স্কুলের নাম, খ্যাতি বাড়াতে ওই ছাত্রের বলিদান দিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা সেটার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এক ছাত্রের বলিদান দিতে চেয়েছিলেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষকরা। কিন্তু তাঁরা সেবার সফল হননি।