বুধবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) নেতা ও বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, দুটি ইপিক নম্বর থাকার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনও কোনও নোটিশ তিনি পাননি।
বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, গত সপ্তাহে পাঠানো নোটিশের জন্য “একটি ভাল উত্তর” তৈরি করা হচ্ছে, যা “তাদের বলার মতো কিছুই থাকবে না”।
তিনি বলেন, “তারা তাদের নিজস্ব ভুলের জন্য আমাকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে। আমার নামে দুটি ইপিক নম্বর জারি করা হলে এটি কার ভুল? সর্বোপরি, আমি কেবল একটি জায়গা থেকে আমার ভোট দিচ্ছি।”
এই মন্তব্য আসে দিঘা বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিকের (ERO) পাঠানো একটি স্মারক নোটিশের পরেই। নোটিশে বলা হয়েছে, তেজস্বী ২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে যে ইপিক কার্ডটি দেখিয়েছিলেন, সেটি জমা দিতে হবে ৮ আগস্টের মধ্যে।
তেজস্বী দাবি করেছিলেন, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে তার নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশন তার এই অভিযোগ “ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করে এবং তালিকায় তার নাম থাকা সংক্রান্ত প্রমাণ পেশ করে।
আরজেডি নেতা আরও অভিযোগ করেন, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর অংশ হিসেবে তৈরি খসড়া তালিকা থেকে শুধু তার নয়, অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সরকারি আমলার নামও বাদ গেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, এই সমগ্র প্রক্রিয়াটাই আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এই ইস্যু ঘিরে বিহারের রাজনীতিতে বিতর্ক আরও এক ধাপ চড়েছে।