Election Clash: বাংলাকে টেক্কা দিয়ে ভোটে শাসক-বিরোধী তীব্র গুলির লড়াই, অসহায় রক্ষীরা

নির্বাচন মানেই  রক্তাক্ত পরিস্থিতি (Election Clash) হয় পশ্চিমবঙ্গে। রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত ও এলাকা দখলের যে পরিস্থিতি একদা বিহারে ছিল সেখানেও নিরুপদ্রবে ভোট হয়। আর বাংলায়…

নির্বাচন মানেই  রক্তাক্ত পরিস্থিতি (Election Clash) হয় পশ্চিমবঙ্গে। রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত ও এলাকা দখলের যে পরিস্থিতি একদা বিহারে ছিল সেখানেও নিরুপদ্রবে ভোট হয়। আর বাংলায় হয় রক্তাক্ত ভোট। দূরবর্তী বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরাতেও একই পরিস্থিতি হয়। এবার লোকসভা নির্বাচনে হিংসা এড়াতে মরিয়া চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার ভোট শুরু হতেই আসছে তীব্র বন্দুকযুদ্ধের সংবাদ।

পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ত্রিপুরা নয় নির্বাচনে  রাজনৈতিক সংঘর্ষে গরম অরুণাচল প্রদেশ। জানা যাচ্ছে, এ রাজ্যে বিজেপি এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে  লংডিং জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, নিরাপত্তা রক্ষীদের উপস্থিতিতেই দুই দলের সমর্থকরা টানা আধ ঘণ্টা ধরে পরস্পরের দিকে গুলি চালায়।

   

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার পাশাপাশি   অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) এবং সিকিম (৩২ আসন) বিধানসভার নির্বাচন। দুটি রাজ্যেই ভোট হিংসার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সিকিমে ক্ষমতাসীন সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা (SKM)ও পূর্বতন শাসক দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (SDF) সদস্যদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশে প্রকাশ্যে  BJP ও NPP বন্দুকযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়  প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দুরক্ষের গুলি বিনিময় চলে। পোলিং বুথের নিয়ন্ত্রণ দখল করার জন্য এই সংঘর্ষ।  এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা অরুণাচলে প্রচার করেছেন।

অরুণাচলের মোট ৬০টি বিধানসভা। এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোট। চিন, মায়ানমার ও ভুটান সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্যের পাপুম পারে সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় উল্লেখযোগ্যভাবে অনুপস্থিত বিরোধী প্রার্থীরা। এর ফলে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য জয়ের পথ প্রশস্ত। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সহ আরও একাধিক বিজেপি প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্ভাবনা। ফলাফলের আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিজেপি মুক্তো এবং সাগলী, লোয়ার সুবনসিরিসহ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় ক্লিন সুইপ করার জন্য প্রস্তুত। মোট 5 জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন, যার মধ্যে তালি থেকে জিকে টাকো, তালিহা থেকে নিয়াতো ডুকম, সাগালি থেকে রাতু তেচি এবং রোয়িং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মুচ্চু মিথি।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের নবম টুকি, সাগালি থেকে 30 বছর বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এইবার তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আলো থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ রাজ্যে দুটি লোকসভা আসন।