চাষিরা বিপদে, শিন্ডে সেনার বিধায়কদের মানবিক পদক্ষেপ

Eknath Shinde’s Shiv Sena Donates One-Month Pay to Support Rain-Affected Farmers

মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়াড়া অঞ্চলে অপ্রত্যাশিত ও ভয়াবহ বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। খরাপ্রবণ এই অঞ্চলে গত চার দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ধারাশিব জেলায় অন্তত ১৫৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত ৫০ বছরের মধ্যে এমন বৃষ্টি এই অঞ্চলে আর দেখা যায়নি বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisements

এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Shinde Sena)  নেতৃত্বে শিবসেনা কৃষকদের পাশে দাঁড়াল। তিনি ঘোষণা করেছেন, দলের সব মন্ত্রী ও বিধায়করা নিজেদের এক মাসের বেতন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করবেন। “প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে কৃষকদের পাশে শিবসেনা সবসময় থাকে। তাঁদের সাহায্যে কখনও দ্বিধা করবে না,” সংবাদমাধ্যমে এভাবেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন শিন্ডে।

সরকারি হিসাব বলছে, এই প্রবল বৃষ্টিপাতে মারাঠওয়াড়ার অন্তত ৭৫০টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১৮৬টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। ৩৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমির ফসল ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। জালনা ও বিড জেলায় তিনটি সেতু ভেঙে পড়েছে। ছত্রপতি সম্ভবাজিনগরে দুটি স্কুল ভেঙে গিয়েছে। ছোট-বড় পাঁচটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে একদিকে কৃষি ক্ষতি, অন্যদিকে পরিকাঠামোর ভাঙন মিলিয়ে মারাঠওয়াড়ার জীবনযাত্রা কার্যত থমকে গিয়েছে।

রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী গিরিশ মহাজন পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “অবস্থা খুবই গুরুতর। গত ৫০ থেকে ৭০ বছরে এমন বৃষ্টিপাত আর হয়নি। গ্রামগুলির বেশিরভাগটাই জলমগ্ন। উর্বর মাটি ধুয়ে গিয়েছে। কৃষকরা ফসল ও গবাদি পশু দুটোই হারিয়েছেন।”

Advertisements

কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলে সাধারণত বৃষ্টির ঘাটতি থাকে। সেখানে হঠাৎ করেই অতিবৃষ্টি শুরু হওয়ায় চাষিরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। বন্যার জলে ফসলের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য ও আশ্রয় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বহু পরিবার।

এই প্রেক্ষাপটে শিন্ডে শিবসেনার উদ্যোগ অনেকের কাছে মানবিকতার নিদর্শন হয়ে উঠেছে। একনাথ শিন্ডে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কৃষকদের এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানো দল ও সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। দলীয় স্তরে এমন উদ্যোগ আগে খুব একটা দেখা যায়নি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেবল আর্থিক সহায়তাই নয়, প্রশাসনিক স্তরেও দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।