HomeBharatইডির রাডারে এবার ১০ রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ

ইডির রাডারে এবার ১০ রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ

- Advertisement -

নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বর: ভারতের মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির এক নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) দেশের ১০টি রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ১৫টি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে। এই অভিযান মেডিক্যাল কলেজগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ঘুষের এক বিশাল নেটওয়ার্ককে কেন্দ্র করে চালানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)-এর ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখের এফআইআর-এর ভিত্তিতে শুরু হওয়া এই তদন্ত মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে চলছে। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এই ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে, কারণ এটি শুধু দুর্নীতির নয়, বরং দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মূল ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

   

নয়নজুলি থেকে অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

ইডির টিমগুলো আজ ভোর থেকেই কাজ শুরু করেছে। তল্লাশির জাল পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, গুজরাত, রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিতে। এর মধ্যে সাতটি স্থান সরাসরি মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত, যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীদের অফিসে টহল বসানো হয়েছে। বাকি স্থানগুলোতে সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যক্তিগত ব্যক্তিদের বাড়ি ও অফিস অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

সিবিআই-এর এফআইআর অনুসারে, জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজগুলোর পরিদর্শনের গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে কলেজগুলো অনুমোদন প্রক্রিয়া ম্যানিপুলেট করে কোর্স চালানোর অনুমতি নিয়েছে।

মধ্যস্থতাকারীরা এই লেনদেনের মূল সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে। ইডির তল্লাশিতে ডকুমেন্ট, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, নগদ অর্থ এবং সম্পত্তির রেকর্ড যাচাই করা হচ্ছে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “এই অভিযানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে, যা দুর্নীতির চেইনকে ভেঙে দেবে।”

মেডিক্যাল কলেজগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়া ভারতে একটি জটিল এবং কঠোর পদ্ধতি। এনএমসি-এর পরিদর্শকরা কলেজের পরিকাঠামো, শিক্ষকশক্তি এবং সুবিধা যাচাই করে অনুমতি দেয়। কিন্তু এই এফআইআর অনুসারে, কর্মকর্তারা লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে পরিদর্শনের আগাম তথ্য এবং দুর্বলতা ফাঁস করে দিত। ফলে কলেজগুলো দুর্বলতা সংশোধন করে ‘পারফেক্ট’ রিপোর্ট তৈরি করত। এই ঘুষের পরিমাণ কয়েক লক্ষ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিল।

একজন অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীর নাম উঠেছে, যিনি একাধিক কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সিবিআই-এর তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে যে, এই নেটওয়ার্কে এনএমসি-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লোকেরা জড়িত। এই দুর্নীতির ফলে দেশে মেডিক্যাল শিক্ষার মান নেমে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। একজন শিক্ষা বিশ্লেষক বললেন, “এমন কলেজ থেকে বেরোনো ডাক্তাররা রোগীদের জন্য হুমকি।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular