মানি লন্ডারিং মামলায় অনিল আম্বানি এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) (ED RAID) নতুনভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, সংস্থা ১,৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নতুন করে অস্থায়ীভাবে আটক করেছে। এর ফলে এই মামলায় মোট জব্দ সম্পত্তির পরিমাণ পৌঁছেছে প্রায় ৯,০০০ কোটি।
সূত্রের দাবি, এই সম্পত্তিগুলি অবস্থিত নবি মুম্বাই, চেন্নাই, পুণে এবং ভুবনেশ্বরে। ইডি জানিয়েছে, জব্দকৃত এই সম্পত্তিগুলি প্রত্যেকটি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন বা অভিযোগিত তহবিল সরানোর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
এর আগে, একই তদন্তের অংশ হিসেবে ইডি প্রায় ৭,৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করেছিল। অর্থাৎ, নতুন সম্পত্তি যুক্ত হওয়ার পর মোট জব্দের অঙ্ক ছুঁলো প্রায় ৯,০০০ কোটি। তদন্তকারীরা বলছেন, এই সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত, কর্পোরেট এবং বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ।
এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু অনিল আম্বানি নেতৃত্বাধীন সংস্থাগুলির আর্থিক অনিয়ম। অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানিগুলি বিপুল পরিমাণ ঋণ ও তহবিল নিয়েও তা যথাযথভাবে ব্যবহার করেনি এবং কখনও কখনও টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইডি-র তদন্ত শুরু হয়েছিল এবং প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নথি সংগ্রহ করা হয়। ইডি সূত্রের মতে, নতুনভাবে আটক করা সম্পত্তি পূর্ববর্তী প্রক্রিয়ারই অংশ। সংস্থা তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চায় কোন সম্পত্তি সরাসরি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। এইভাবে ইডি সম্পূর্ণ খাতগুলির উপর নজর রাখছে এবং নিশ্চিত করছে যে, সব ধরনের অগভীর লেনদেনও নজরে থাকবে।
অনিল আম্বানি ও তাঁর সংস্থা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই নতুন সম্পত্তি জব্দের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইডি জানিয়েছে, তদন্ত চলমান এবং ভবিষ্যতে আরও সম্পত্তি জব্দের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্তারিত তথ্য ও সম্পত্তি সংক্রান্ত লেনদেনের বিশদ পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন বড় পরিমাণ সম্পত্তি জব্দ হওয়া শুধু সংস্থার আর্থিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলছে না, বরং দেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক পরিবেশেও এক ধরনের সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে দেশের অন্যতম বৃহৎ কর্পোরেট হাউসের সম্পদের উপর এই ধরনের পদক্ষেপ বাজারে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।


