প্রাক্তন দিল্লি মন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা সত্যেন্দ্র কুমার জৈনের (Ex-Delhi Minister) বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থের মামলায় ফের বড় পদক্ষেপ। সংস্থাটি এবার তাঁর সঙ্গে যুক্ত চারটি সংস্থার মোট ৭.৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তি আটক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইডি যে সম্পদ আটকে রেখেছে তার মোট পরিমাণ দাঁড়াল ১২.২৫ কোটি টাকা।
ইডির দাবি, এই অর্থ-সম্পত্তি মূলত বেআইনি উপায়ে ও অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ হিসেবে সত্যেন্দ্র জৈন মন্ত্রিত্বকালে অর্জন করেছিলেন। ২০১৭ সালে সিবিআই এই মামলায় এফআইআর দায়ের করে। অভিযোগ ছিল, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত সময়কালে দিল্লি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে তিনি বৈষম্যহীন আয়ের তুলনায় অতিরিক্ত সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সিবিআই একটি চার্জশিট দাখিল করে। তাতে সত্যেন্দ্র জৈন, তাঁর স্ত্রী পূনম জৈন এবং আরও কয়েকজনের নাম ছিল। এই মামলার ভিত্তিতেই ইডি তদন্ত শুরু করে। এর আগে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ইডি প্রায় ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছিল এবং একটি প্রসিকিউশন কমপ্লেইন্ট দাখিল করে। পরে দিল্লির একটি আদালত সেই প্রসিকিউশন কমপ্লেইন্ট গ্রহণ করে।
ইডির এই নতুন পদক্ষেপের ফলে মামলায় সম্পূর্ণ জব্দকৃত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াল ১২.২৫ কোটি টাকা, যা সংস্থার দাবি অনুযায়ী সত্যেন্দ্র জৈনের সম্পূর্ণ ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ সম্পদের মূল্য।
ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নোটবন্দির পরপরই সত্যেন্দ্র জৈনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অঙ্কুশ জৈন এবং বৈভব জৈন আয়কর বিভাগের ইনকাম ডিসক্লোজার স্কিম (আইডিএস)-এর আওতায় ৭.৪৪ কোটি টাকা নগদ হিসেবে অগ্রিম কর জমা করেন। তাঁরা চারটি সংস্থার নামে মোট ১৬.৫৩ কোটি টাকার সম্পদ ঘোষণা করেন। পরে কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সংস্থাগুলি কার্যত সত্যেন্দ্র জৈনেরই মালিকানাধীন এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল।
ইডির এই নতুন পদক্ষেপ দিল্লির রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আপ নেতৃত্ব এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি, যদিও আগে থেকেই তারা দাবি করে আসছে যে, সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে তদন্তগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
