সাত সকালে কাঁপল হরিয়ানা, ১২ দিনে তিন বার ভূমিকম্পে উদ্বেগ উত্তর ভারতে

হরিয়ানায় (Haryana) ঘন ঘন ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। গত ১২ দিনের মধ্যে তিনবার ভূমিকম্প (Haryana earthquake) অনুভূত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।…

earthquake in Haryana on Sunday morning raise panic

হরিয়ানায় (Haryana) ঘন ঘন ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। গত ১২ দিনের মধ্যে তিনবার ভূমিকম্প (Haryana earthquake) অনুভূত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ভোরে আবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যা স্থানীয় এলাকাগুলিতে বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সোনিপত এবং তার আশপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়, যা রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে ঘটে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৩.০ বলে জানিয়েছে, যা অবশ্য তীব্রতা কম হলেও, এলাকায় যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে, যা সাধারণত কম শক্তির ভূমিকম্পের লক্ষণ। তবে ভূমিকম্পের প্রভাবকে অবহেলা করা উচিত নয়, বিশেষত উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে যেখানে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকে। যদিও এই ভূমিকম্পের ফলে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবুও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। বহু মানুষ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছেন এবং কিছু এলাকায় দাতব্য শিবির এবং ত্রাণকর্মীরা সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেছেন।

   

গত বছরের ডিসেম্বরে, ২৫ এবং ২৬ তারিখেও সোনিপত ও তার আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তখনও তীব্র কম্পন ছিল না, তবে ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পনের ফলে মানুষের উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূমিকম্পের এই প্রবণতা কোনো স্থায়ী ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ফল হতে পারে, যার ফলে ভবিষ্যতে আরো বেশি কম্পন অনুভূত হতে পারে। যদিও হরিয়ানার এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের কোনো বড় ধরনের ঝুঁকি নেই বলে সিসমোলজিস্টরা দাবি করেছেন, তবে ধারাবাহিক ভূমিকম্পের ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের প্রভাবের কারণে রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে এবং দ্রুত সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ভূমিকম্পের শিকার এলাকায় ত্রাণ বিতরণ এবং দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য কৌশলগত প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, যেমন দুর্যোগের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং জরুরি উদ্ধার কর্মীদের প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও, স্থানীয় বাসিন্দাদের ভূমিকম্পের ক্ষতির জন্য প্রস্তুত থাকা এবং সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতা নেওয়ার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। যদিও এই ভূমিকম্পগুলি তুলনামূলকভাবে কম শক্তির ছিল, তবে কখনও কখনও পরবর্তী ভূমিকম্পগুলি আরও শক্তিশালী হতে পারে, যা প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ক্ষতির কারণ হতে পারে।